ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে ডিপ্লোম্যাটিক জোনে বিশেষ নিরাপত্তা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
ঈদে ডিপ্লোম্যাটিক জোনে বিশেষ নিরাপত্তা

ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল ফিতর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। ঈদ শপিং, ব্যাংক লেনদেনসহ ঘরমুখো যাত্রীদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। 

ঈদে পুরো রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সমন্বিতভাবে কাজ করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

সম্প্রতি সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ঈদ-উল ফিতরের সময় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিপ্লোম্যাটিক জোনে দেওয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা।  

এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর ৪৯টি থানায় দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণি বিতান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শপিংমলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকছে তল্লাশি চৌকি। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। ঈদের ছুটিতে আরও জোরদার নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ করছি’।

তিনি দাবি করেন, পুলিশের তৎপরতায় এ বছর রোজায় রাজধানীর কোথাও ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি।  

এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব সুসঙ্গত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই র‌্যাবের প্রধান লক্ষ্য।

ডিপ্লোম্যাটিক জোনের নিরাপত্তা
ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে ডিপ্লোম্যাটিক জোনে থাকছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ এলাকার প্রতিটি প্রবেশ মুখে থাকবে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। গুলশান-১ ও ২ নম্বরের পুরোটাই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা আওতায়।  

ঈদের সময় এ জোনে পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।  

ডিএমপি’র ডিপ্লোম্যাটিক জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিমউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে রাজধানী জুড়েই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে ডিপ্লোম্যাটিক জোনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।  

পাড়া-মহল্লা 
বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় রোজা ও ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকল থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।   

বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন 
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপনে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। এ সময় বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ও‍ঁত পেতে বসে থাকে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টিসহ বিভিন্ন প্রতারকচক্রের সদস্যরা। প্রতারকচক্রের সদস্যরা হকার ও যাত্রী বেশে বিভিন্ন পন্থায় ঘরমুখো মানুষের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকেন।  

এবার ঈদে নিরীহ কোনো মানুষ যেন এসব প্রতারকের কবলে না পড়েন, সেজন্য রোজার আগে থেকেই গুলিস্থান, ফুলবাড়িয়া, মতিঝিল, গাবতলী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, আরামবাগ, মিরপুর, আব্দুল্লাহপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব প্রতারক চক্রের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, অন্য বছরের তুলনায় এবার রোজায় রাজধানীতে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপার্টির দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে গেছে।  

এসব স্থানে যেন কোনোভাবে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেজন্যও কাজ করছে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।  
 
শপিংমল
ঈদের কেনাকাটা করতে শপিংমলগুলোতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওইসব শপিংমলে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।  

ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আর্থিক লেনদেনে মানিস্কট সুবিধাও দিচ্ছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে সহায়তা পাচ্ছেন বলেও দাবি পুলিশের।  

ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ঈদকেন্দ্রিক পর‌্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের টহল টিম বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।