বাগানগুলোতে শ্রমিক-কর্মচারিদের মোট পাওনা ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩১৬ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসের পাওনা প্রায় ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
শ্রমিকদের দুর্দশার এই তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন (বাচাশ্রই) এর সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয় ‘লেবার হাউজ’-এ অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এই ৫টি বাগানের দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন দু’টি দাবি উল্লেখ করেছে। প্রথম দাবি: অবিলম্বে ধামাই, সোনারুপা, আতিয়াবাগ, পুচি এবং শিলঘাট চা-বাগান পরিচালনার দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি: শ্রমিক-কর্মচারিদের যাবতীয় পাওনা আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইউনিয়নের স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েতগুলোকে নিয়ে ইউএনও, জুড়ি; উপ-শ্রম পরিচালক, শ্রীমঙ্গল; জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার বরাবরে বেশ কয়েকবার সভা করা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাগান কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে অমান্য করে যাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, বাংলাদেশ টি স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় বুনার্জী, অর্থসম্পাদক পরেশ কালেন্দিসহ জুড়ি ভ্যালির সভাপতি এবং উল্লেখিত ওই ৫টি বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:২১৩৮; জুন ২০, ২০১৭
বিবিবি/জেএম