ঘরমুখো এসব মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা।
দক্ষিণাঞ্চলের এসব ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি রয়েছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বাংলানিউজকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ পড়ে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে সর্বমোট ১৭টি ফেরি রয়েছে।
এর মধ্যে বড় ফেরি রয়েছে ৮টি। প্রতিটি বড় ফেরি একসঙ্গে ১২টি যাত্রীবাহী বাস নৌরুট পারাপার করতে পারে। তবে ছোট গাড়ি হলে অর্থাৎ প্রাইভেটকার, হাইয়েচ বা মাইক্রোবাস হলে একসঙ্গে বড় একটি ফেরির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টি পর্যন্ত।
এছাড়াও তিনটি কে-টাইপ (মাঝারি) ও ছয়টি ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে। যে ফেরিগুলো একসঙ্গে ৬টি বাস অথবা ২৫/৩০টি ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি একসঙ্গে নৌরুট পারাপারে সক্ষম বলে দাবি করেন মহিউদ্দিন রাসেল।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি ফেরি নৌরুট পারাপার হতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া ফেরিগুলো লোড আনলোড হতেও প্রায় ২০ মিনিট করে সময় লাগে। তবে, কে-টাইপ ফেরিতে যানবাহন লোড আনলোডে এই সময়ের পরিমাণ একটু বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে প্রতিদিন সাধারণত আড়াই হাজার থেকে প্রায় তিন হাজার যানবাহন নৌরুট পারাপার হয়। তবে ঈদের সময় প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার গাড়ি পারাপার করতে হয়।
ইতিমধ্যেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। প্রয়োজনে আরও ২/১টি ফেরি ওই বহরের সঙ্গে যোগ করে ঈদ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এসএইচ