ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অপুষ্টি, অশিক্ষা ও বাল্যবিয়ের দোলাচলে বেড়ে ওঠে সদেবরা

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
অপুষ্টি, অশিক্ষা ও বাল্যবিয়ের দোলাচলে বেড়ে ওঠে সদেবরা সদেব

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জেয়ালা ঋষিপাড়ায় ঢোকার পথেই পরিচয় হলো সদেব দাসের (৬) সঙ্গে। কর্দমাক্ত রাস্তায় বাঁশের চটা ও খেলনা দিয়ে তৈরি যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটছিল সে। 

এটা কি? উত্তরে সদেব জানালো- জেটিকল। বুঝলাম, সে স্কেভেটর মেশিনের কথা বলছে।

বাড়ির পাশে কর্মরত স্কেভেটর মেশিন দেখে জেটিকলটি তৈরি করেছে সে।  

জেয়ালা ঋষিপাড়ার সতীশ দাসের মেধাবী ছেলে সদেবের শারীরিক গঠন দেখে বোঝা গেল অপুষ্টি বাসা বেধেছে তার শরীরে।  

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, অপুষ্টি, অশিক্ষা ও বাল্যবিয়ের দোলাচলে বসবাস তাদের। অসচেতনতার কারণে জেয়ালা ঋষিপাড়ায় বাল্যবিয়ে ও জন্মহার খুব বেশি। স্কুলে যায় না এখানকার বেশির ভাগ শিশু। আর অপুষ্টি বাসা বেধেছে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা- সবার শরীরেই।  

স্থানীয় লক্ষণ দাস বাংলানিউজকে বলেন, ৭০ ঘর ঋষির বসবাস এখানে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করে যা আয় হয় তাতে কোনো মতে জীবন চলে আমাদের। লেখাপড়া এখানে বিলাসিতা। তাই শিক্ষার আলো বঞ্চিত এ জনপদ। জন্মের পর থেকে শিশুরা বেড়ে ওঠে অযত্ন-অবহেলায়। একটু বড় হলেই বিয়ে।  

তিনি আরও বলেন, সবাই কাজে চলে যায়। কখনও খাওয়া জোটে, কখনও জোটে না। তাই শিশুরা স্কুলে গেলো কি না, কেউ খোঁজ রাখতে পারে না।  অপুষ্টিতে ভুগছে জেয়ালা ঋষিপাড়ার শিশুরা

আগে সবাই খুপড়ি ঘরে থাকতো। সম্প্রতি একটি এনজিও তাদের ছোট ছোট ঘর বানিয়ে দিচ্ছে। এখন একটি শিশু বিকাশ কেন্দ্র বা সুরক্ষা কেন্দ্র দরকার বলে মনে করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ