এটা কি? উত্তরে সদেব জানালো- জেটিকল। বুঝলাম, সে স্কেভেটর মেশিনের কথা বলছে।
জেয়ালা ঋষিপাড়ার সতীশ দাসের মেধাবী ছেলে সদেবের শারীরিক গঠন দেখে বোঝা গেল অপুষ্টি বাসা বেধেছে তার শরীরে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, অপুষ্টি, অশিক্ষা ও বাল্যবিয়ের দোলাচলে বসবাস তাদের। অসচেতনতার কারণে জেয়ালা ঋষিপাড়ায় বাল্যবিয়ে ও জন্মহার খুব বেশি। স্কুলে যায় না এখানকার বেশির ভাগ শিশু। আর অপুষ্টি বাসা বেধেছে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা- সবার শরীরেই।
স্থানীয় লক্ষণ দাস বাংলানিউজকে বলেন, ৭০ ঘর ঋষির বসবাস এখানে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করে যা আয় হয় তাতে কোনো মতে জীবন চলে আমাদের। লেখাপড়া এখানে বিলাসিতা। তাই শিক্ষার আলো বঞ্চিত এ জনপদ। জন্মের পর থেকে শিশুরা বেড়ে ওঠে অযত্ন-অবহেলায়। একটু বড় হলেই বিয়ে।
তিনি আরও বলেন, সবাই কাজে চলে যায়। কখনও খাওয়া জোটে, কখনও জোটে না। তাই শিশুরা স্কুলে গেলো কি না, কেউ খোঁজ রাখতে পারে না।
আগে সবাই খুপড়ি ঘরে থাকতো। সম্প্রতি একটি এনজিও তাদের ছোট ছোট ঘর বানিয়ে দিচ্ছে। এখন একটি শিশু বিকাশ কেন্দ্র বা সুরক্ষা কেন্দ্র দরকার বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এসআই