ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বাজেটে ঘুরপাক খাচ্ছে’ ছুটির অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
‘বাজেটে ঘুরপাক খাচ্ছে’ ছুটির অনুমোদন

ঢাকা: দুই ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব এলেও জাতীয় সংসদে চলমান বাজেট অধিবেশন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজেট পাসের বাধ্যবাধকতার কারণে মন্ত্রিসভায় পাস হয়নি প্রস্তাবটি।
 
 

ঈদ-উল ফিতরের পর আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পাস হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।  
 
সরকারি চাকরিজীবীদের নৈমিত্তিক ছুটি কমিয়ে ঈদের ছুটি বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন টিমের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সোমবারের (১৯ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের কথা ছিল।

 
 
২৯ রোজা ধরে আগামী ২৬ জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের ছুটির পর ২৮ জুন (বুধবার) বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা এবং ২৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বাজেট পাস হবে।  
 
৩০ জুন শুক্রবার হওয়ায় ‘জুন ক্লোজিংয়ের’ মধ্যে বাজেট পাসের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এজন্য ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাবটিতে অর্থ মন্ত্রণালয় বিরোধিতা করলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হয়নি।  
 
মন্ত্রিসভায় ঈদের ছুটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, না, ঈদের ছুটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।  
 
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ বা ২৭ জুন ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হবে। ২৬ জুন ঈদ হলে সরকারি ছুটি পড়বে ২৫-২৭ জুন। আর ঈদ একদিন পর হলে ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে হবে ২৮ জুন। ‘জুন ক্লোজিংয়ের’ শেষ দিনের মধ্যে সংসদে বাজেট পাস হতে হবে ২৯ জুন, কারণ পরদিন পড়বে শুক্রবার।  
 
আর ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ২২ জুন বৃহস্পতিবার। ২৩ জুন শুক্রবার শবে কদর ও ২৪ জুন শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ঈদের পর ২৮ ও ২৯ জুন অফিস খোলা।  
 
আর ঈদের পর কেউ কেউ বাড়তি দু’একদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিলেও অনেকেই পথের বিড়ম্বনায় সময়মতো অফিসে উপস্থিত হতে পারেন না। এতে কাজের বিঘ্ন ঘটে।  
 
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন টিমের ২৭তম সভায় জানানো হয়, ঈদের ছুটির সময়ে যানবাহনের উপর মাত্রারিক্ত চাপ, দুর্ঘটনা বৃদ্ধি, দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হওয়া ও ঈদের ছুটির শেষে অফিস খোলার পরবর্তী ২/১ দিন কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকা সত্বেও অফিসের ইউটিলিটি সার্ভিস লিফট, গাড়ি চালু রাখতে হয়। ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় না বিধায় দুই ঈদের তিনদিনের ছুটির সঙ্গে নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন রেখে তিনদিন করে সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়।
 
এছাড়া অন্যান্য ধর্মালম্বীরা দুই ঈদের ছুটি ভোগ করলেও তাদের প্রধান দু’টি ধর্মীয় উৎসবের সরকারি ছুটির সঙ্গে দুইদিন করে চারদিন ঐচ্ছিক ছুটির প্রস্তাব করা হয়েছিল।  
 
এতে বিভিন্ন পর্বের জন্য বিদ্যমান ছুটির ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং যানবাহনের উপর চাপ, যানজট ও দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে খোলার তারিখ থেকে পুরোদমে চালু হবে অফিস। ছুটি যেন আরও দীর্ঘায়িত না হয় সেজন্য দুই ঈদের সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল।  
 
তবে এখন ছুটি হওয়া না হওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশের উপর নির্ভর করবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।