সোমবার (১৯ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই সঙ্গে ট্রেনে ছিনতাই, রাহাজানি, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য, চোরাচালান এবং নাশকতা বন্ধে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি)।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতরে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঘরমুখো ট্রেন যাত্রীদের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এসব পদক্ষেপ।
সূত্রটি জানায়, স্বাভাবিকের তুলনায় ঈদে চারগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করে রেলওয়ে। এজন্য বেশক’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়। এসব ট্রেনে থাকে নাশকতার আশঙ্কা। এছাড়া বেড়ে যায় পকেটমার ও চোরা কারবারিদের দৌরাত্ম্য। যাত্রীদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে প্রচারপত্র বিলি করা শুরু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মসূচি চলবে ঈদের পর ৫ জুলাই পর্যন্ত। পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন ও আশপাশের এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। বড় স্টেশনগুলোতে বসেছে তথ্যকেন্দ্র। এ থেকে যাত্রীদের নানামুখি সেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ রেলওয়ে দু’টি জোনে (অঞ্চল) বিভক্ত। একটি পূর্বাঞ্চল ও অপরটি পশ্চিমাঞ্চল। ওই দুই জোনে পুলিশের দু’টি জেলা রয়েছে। জেলা দু’টি চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরে অবস্থিত।
পশ্চিমাঞ্চলের সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান জানান, এ জেলার অধীনে রয়েছে ১২টি থানা ও ১৬টি পুলিশ ফাঁড়ি। থানাগুলো হচ্ছে সৈয়দপুর সদর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বোনারপাড়া, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী ও খুলনা। এসব থানার অধীনে ৬৭০ জন করে পুলিশ ও ১০০ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ঈদের আগে ও পরে যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
জিআরপি এরই মধ্যে বিভিন্ন ট্রেনে তল্লাশি শুরু করেছে। বড় বড় স্টেশনগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যাত্রীবেশে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন করছে কিনা তা নির্ণয় করা যাবে মেটাল ডিটেক্টরে।
এছাড়া নিরাপত্তামূলক এসব ব্যবস্থা রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলেও নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসআই