ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ উৎসবে অটুট শাড়ির জৌলুস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ঈদ উৎসবে অটুট শাড়ির জৌলুস ক্রেতাদের শাড়ি দেখাচ্ছেন এক বিক্রেতা। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: নারীকে সবচেয়ে সুন্দর মানায় শাড়িতে। এ শাড়িই নারীকে করে তুলে মোহনীয় ও আকর্ষণীয়। শুধু কী তাই, ঐতিহ্যবাহী এ পোশাকেই ফুটে ওঠে আভিজাত্যও। ঈদ ফ্যাশনে হাজারো পোশাকের ভিড়ে শাড়ির কদর কখনো কমেনি।

বাঙালি নারীরা থ্রি-পিস, টপসসহ বিভিন্ন পোশাকে ঝুঁকলেও নিজের স্টাইলের জানান দিচ্ছেন শাড়িতেই। ফলে ঈদ উৎসবে জৌলুস অটুট রয়েছে শতভাগ বাঙালিয়ানার ছাপ বলে বিবেচিত এ শাড়ি।

ঈদ ঘনিয়ে আসায় ময়মনসিংহ নগরীর বিপণি বিতানগুলোতেও এবারো শাড়ির শ্রেষ্ঠত্ব ও কেনার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) রাতে নগরীর বিভিন্ন বিপণি বিতান ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল এবং ইফতারির পরে রাতে নগরীর বিপণি বিতানগুলোতে বাহারি ডিজাইনের নানা পোশাক বিক্রি হলেও শাড়ি বিক্রয়কর্মীরা যেন দম ফেলারও সময় পাচ্ছেন না। বেশিরভাগ শাড়ির দোকানেই ক্রেতা ভরপুর।  

নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে চাকচিক্য আর আলোর ঝলকানিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-বেচা। শেষ মুহুর্তে এসব বিপণি কেন্দ্রে পা ফেলারও জায়গা নেই। ক্রেতাদের শাড়ি দেখাচ্ছেন এক বিক্রেতা।  ছবি: বাংলানিউজনিজেদের পছন্দমতো পোশাক কিনতে সবাই ছুটছেন। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে বিকিকিনি।

আর ঈদ কেনাকাটায় পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরাই। পছন্দের শাড়ি কেনার পর তারা ছুটছেন গহনার দোকানে। এসব বিচারে বাড়ির কর্তা পুরুষদের চেয়ে নারীদের ব্যস্ততা একটু বেশিই বটে!

নারী মানেই পোশাকে বাঙালিয়ানা পরিচয় বহন করে শাড়ি। শাড়িতে অতুলনীয় নারী এ বিষয়টি মাথায় রেখেই নগরীর আখতার ম্যানসন, রেখা বস্ত্রালয়, মফিজ উদ্দিন ইনডেক্স পাজা, পালিকা শপিং সেন্টার, অলকা নদী বাংলা শপিং কমপেক্সসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে ঈদ কালেকশন হিসেবে উঠেছে বৈচিত্র্যময় ও রকমারি ডিজাইনের শাড়ি।

কিন্তু আধুনিকতার দাপটের সময়েও শাড়িই থাকছে নারীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম। শাড়ির পাশাপাশি অনেকেই আবার সালোয়ার-কামিজে নজর দিয়েছেন। এতে করে প্রত্যাশা মাফিক বিকিকিনি হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

নগরীর আক্তার ম্যানসনের বধূসাজে বরাবরই বাহারি ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যায়। এবার ঈদে এসব শাড়ির ডিজাইনে নকশা আর রুচিসম্মত কাজের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে। বেনারশি, জামদানি, কাঞ্চিবরণ, জুটকাতান, শিপন জর্জেট, সিল্ক, টু পার্ট জর্জেট কী নেই এ বধূসাজে।

দামও হাতের নাগালেই। দুই থেকে আড়াই হাজার এবং পাঁচ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে এসব শাড়ি। কিন্তু সকাল থেকে রাত অবধি ধুম বেচাবিক্রিও চলছে। জানতে চাইলে এ দোকানের মালিক মো. রানা বাংলানিউকে বলেন, সালোয়ার-টপস বাজার দখল করলেও শাড়ি বিক্রিতে কোন ভাটা পড়েনি।

গতবার ঈদের সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হতো ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়েছে। একই রকম কথা জানালেন ঐন্তিকা শাড়ি বিতানের ব্যবসায়ী।

নগরীর বেশিরভাগ বিপণি বিতানেই হাফ সিল্ক, টাঙ্গাইল সিল্ক, বাহারি লেস, বক, পেইন্ট’র নিত্যনতুন ফ্যাশনেবল শাড়ি। রেখা বস্ত্রলায়ের এক বিক্রয়কর্মী জানান, এক সময় জামদানি শাড়ির চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া।

এখনো এ শাড়ির কদর কমেনি। এর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ছোট আচলের শাড়ি। তবে গতবারের চেয়ে এবার শাড়ির বাজার চাঙ্গা।  

নগরীর সবচেয়ে বেশি শাড়ি বিক্রি হয় পালিকা শপিং সেন্টারে। এখানকার আরেক বিক্রয় কর্মী বাংলানিউকে জানান, ঐতিহ্য আর বৈচিত্র্য মাথায় রেখেই দোকানগুলোতে হরেক ডিজাইনের শাড়িতে ভরপুর। নারীরা পছন্দমতো শাড়ি কেনাকাটা করছেন। শাড়ির কারুকাজটা চোখে পড়ে বেশি। এসব কারণে শাড়ি বিক্রি বাম্পার’ যোগ করেন ওই দোকানি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।