তিনি বলেছেন, বাজেটে বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এটা হলে বিদ্যুৎ বিল ৭ শতাংশ বেড়ে যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সঞ্চালন লাইন বৃদ্ধিতে ২০২৪ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দরকার। বোঝাই যাচ্ছে কি পরিমাণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা না থাকলে আমরা বিদ্যুতের সাফল্য দেখতে পারবো না।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগে গতি আনতে আমরা এ বিভাগকে ভেঙে কোম্পানিতে রূপান্তর করতে চাইছি। তরুণরা দুর্নীতিমুক্ত বিদ্যুৎ বিভাগ দেখতে চান। তারা প্রিপেইড মিটারের কথা বলেছেন। আমার দুই কোটি প্রিপেইড মিটারের টার্গেট করেছি। ২০ লাখ মিটার মার্কেটে চলে এসেছে, আরো ৫০ লাখ মিটার আগামী বছরের মধ্যে দিতে পারবো।
তিনি বলেন, তরুণরা ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ দেখতে চান। কিন্তু অনেকে বলেছেন, তাদের বাড়িতে গেলে বিদ্যুৎ দেখতে পান না। এটাও সত্য। আমার চেষ্টা করছি। মনে রাখতে হবে আমাদের ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১০ হাজার কোটি টাকা লাগে। আমাদের দরকার ২৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্ত যে অর্থ বরাদ্দ আছে তার মধ্যে কাজ করতে হবে। সব কিছু বিবেচনার মধ্যে রেখে কাজ করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এ মুহূর্তে পাবেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারবো। গ্যাসের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক কর সরিয়ে নিলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে না বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সোলার প্যানেলের ওপর শুল্ক আরোপ করায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, সোলার প্যানেলের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক ধরা হয়েছে। এটা কমিয়ে ৫ শতাংশে নামানো উচিত।
আগামী মার্চ মাস থেকে গ্যাসের ঘাটতি পূরণ শুরু হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দু’টি এলএমজি টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছি। প্রায় ১ হাজার এমএমসি গ্যাস আগামী বছর আসবে। এলএমজি’র ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক কর জুড়ে দিলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসএম/জেডএস