সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন চাঁদপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় এমপি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজেট পাশ করতে বাধ্য হই।
কার্যপ্রণালি বিধির ৭০ অনুচ্ছেদে কিছুটা পরিবর্তনের দাবি তুলে তিনি বলেন, বাজেট পাসের আগে সংসদ সদস্যদের মতামত দেওয়ার সুযোগ দেন। তাহলে দেখবেন অর্থমন্ত্রী আর তার বক্তব্যে অনঢ় থাকতে পারবেন না।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, ভ্যাট বৃদ্ধিতে আয় বাড়বে ১২০০ থেকে ১৪০০ কোটি টাকা। ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেটে ১৪০০ কোটি টাকা না এলে, সরকারের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। জনগণের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে ব্যাংক থেকে লুটপাট হওয়া ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেন। তাহলে জনগণের ওপর ভ্যাট বাড়াতে হবে না।
আবগারি শুল্ক প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে স্ববিরোধিতা রয়েছে। তিনি একদিকে বলছেন পেনশনের টাকা সুদমুক্ত রাখবেন। আবার আরেক দিকে ব্যাংক আমানতের ওপর ৮০০ টাকা কর আরোপ করেছেন।
ব্যাংক আমানতের এক লাখ টাকার সুদ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, এক লাখ টাকা ব্যাংকে রাখলে ৪ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায় ১২৫০ টাকা। সেখান থেকে ৮০০ টাকা কেটে নেবেন! থাকবে ৪৫০ টাকা। এই ৪৫০ টাকা থেকে আবার ১৮৭ টাকা কাটা পড়বে ইনকামট্যাক্স হিসাবে। থাকবে আর ২৬৩ টাকা। এরপর আবার ৩০০ টাকা কেটে নেবে ব্যাংক। তাহলে দেখা যাচ্ছে ১২৫০ টাকার বাইরে থেকেও টাকা কাটা যাবে। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ