সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, জলাভূমি ভরাট করার অপরাধে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯১ টি প্রতিষ্ঠান হতে পরিবেশ দূষণের জন্য ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য এবং তার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এই সময়ে এক হাজার ৫৫৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপিত হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিল্প দূষণ থেকে যেন পানি দূষিত না হয়,তার জন্য কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনপূর্বক ১০০টি ইকোনোমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে নদীগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আর হাজারীবাগ ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড হতে সারা দেশে বনায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসএম/আরআই