কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে চলছে টানা বৃষ্টি।
সোমবার (১৯ জুন) সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা।
রাজধানীর মিরপুর,আজিমপুর,কলাবাগান,আসাদগেট, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে রাজধানীর পানিবন্দির বিভিন্ন চিত্র দেখা যায়। মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর -১০,১৪, পল্লবী, পূরবীর মূল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। এলাকাবাসীকে আতঙ্ক নিয়ে পানিতে রিকশা নিয়ে বের হতে দেখা যায়।
বৃষ্টি ও জলাজমানো পানির কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তার মাঝখানে গণ পরিবহন, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা বিকল হয়ে পড়ে থাকতেও দেখা গেলো।
কাজীপাড়া এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকে টাকা তুলতে বের হয়েছে আশরাফুল আলম। মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকা থেকে রিকশায় করে কাজীপাড়ায় আসেন। পুরো রাস্তা হাঁটু পর্যন্ত পানি, পলিথিনে মোবাইল ফোনটি মুড়িয়ে এক ঘণ্টায় রাস্তা শেষ করে অবশেষে পৌঁছান আশরাফুল। আশরাফুল বাংলানিউজকে জানান, আমি বুঝতে পারি নাই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি। রিকশায় বসে ভাবছিলাম এ বুঝি পরে যাবো। হাঁটুর উপর পানি নামতেও পারি না। এ রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির ফলে গর্তও আছে প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম।
রাজধানীতে বৈরী আবহাওয়া মানে এক প্রকারের দুর্যোগ। আর এমন দুর্যোগে নগরবাসী পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে।
বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় জমানো পানিতে যানবাহন চলাচল করায় টেউয়ের সৃষ্টি হতে দেখা গেলো। ফলে পানির উপর দিয়ে যেসব যাত্রী রাস্তা পার হচ্ছেন টেউয়ের কারণে অনেকেই রাস্তায় পরেও যেতে দেখা যায়।
দুর্ভোগে পরা ধানমন্ডির ২৭ নম্বরের বাসিন্দা শাহনাজ বলেন, এ শহরে গরম হলে থাকা যায় না, বৃষ্টি হলে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। দুর্ভোগ আর দুর্ভোগ।
সবকিছুতেই সমস্যা। কিন্তু এমন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় পাই না। এ দুর্ভোগের দায় কিন্তু সিটি করপোরেশন ও সরকারের। কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না। মিরপুর কাজীপাড়া স্বপ্ন সুপার শপের ম্যানেজার তৌহিদ বলেন, সারাদিন টিপটিপ করে বৃষ্টি পরলে রাস্তার ধারের সব দোকানে পানি ঢুকবে। তাৎক্ষণিক পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। আস্তে আস্তে পানি সরে যায়। আকাশের যে অবস্থা অাল্লাহ জানে আজকে কি হবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এমসি/এএটি/