তিনি বলেছেন, লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা নয়-ছয় হয়েছে। আর উনি (অর্থমন্ত্রী) ব্যাংক আমানতের ওপর শুল্ক বসালেন।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
ব্যাংকের জন্য এক হাজার কোটি টাকা মূলধন বরাদ্দের তীব্র সমালোচনা করে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, অর্থমন্ত্রী এই টাকা কেনো দিলেন? কার টাকা দিলেন? যেখানে লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা নয়-ছয় হয়েছে। তাতে ব্যাংকের মূলধনে টান পড়েছে। সেটা নিয়ে তদন্ত না করে উনি নতুন করে মূলধনের টাকা দিলেন। এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে মওদুদ আহমেদকে যখন বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলো, তখন তিনি বললেন, ক্ষমতায় এসে তিনি আমাদের সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দিবেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তার মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি ভিশন-২০৩০-এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
বিদ্যামান ব্যবস্থার পরিবর্তন করে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরকে অর্থ বছর হিসেবে চালুর প্রস্তাব করেন মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি পিপি, জিপি ও এপিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বেতন বাড়ানোরও দাবি জানান। এক্ষেত্রে পিপি ও জিপিদের বেতন ৩০ হাজার, অতিরিক্ত পিপিদের বেতন ২৫ হাজার এবং এপিপিদের বেতন ২০ হাজার করার প্রস্তাব করেন।
আর ইউপি চেয়ারম্যানদের বেতন ১৫ হাজার ও মেম্বরদের বেতন ১০ হাজার করার পরামর্শ দেন।
সাবেক তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, আপনি এক কাপড়ে বিদায় করে দিবেন? মুখে বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। আপনারাই তো বিদায় হয়ে গেছেন। জনগণ শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আছে।
বাজেটে প্রস্তাবিত কর ও ভ্যাটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বাজেট নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। তাই ব্যাংক আমানতের ওপর আরোপিত শুল্ক পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। গ্রামে সীমাহীন লোডশেডিং চলছে উল্লেখ করে তিনি বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসএম/জিপি