সোমবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার চকবাজার পশ্চিম ইসলাম বাগ ক্লাবঘাট বাড়ি নম্বর ৭০/১২ একটি টিনসেট বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি কর্মকর্তা আতাউর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এর আগে স্থানীয় লোকজন আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাদের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
নিহতরা হলেন মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০) তার পূত্রবধূ শিরিন আক্তার (৩০) ও মৃত শিরিনের শিশু সন্তান স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আফরিন (১০)।
নিহত শিরিনের স্বামী বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে ভারী বর্ষণে আমার পরিবারসহ সবাই টিনসেট বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। হঠাৎ পুরো ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। পরে আমরা দ্রুত লোহার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় তার মাসহ তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
বাচ্চু মিয়া জানান, তার ছোট মেয়ে কুলসুম ও তার এক ভাগনীকে দ্রুত নিচে নামিয়ে আনেন। এসময় পরে গিয়ে তার ছোট মেয়ে কুলসুম আহত। বর্তমানে সে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
আমার দম বন্ধ হয়েছে আসছে, আমার শ্বাস বন্ধ হয়েছে আসছে, আমার সবশেষ হয়ে গেছে। ঢামেক জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা তিন মরদেহ সামনে বসে বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছিলেন মা, স্ত্রী ও শিশু সন্তার হারা বাচ্চু মিয়া। তার শরীর ভেজা, খালি গায়ে মর্গের সামনে নিচে বসে, কেঁদে কেঁদে বারবার বলছে একটি তার কেড়ে নিলো তিনটি প্রাণ।
তিনি জানান, তার দুই মেয়ে বড় মেয়ে আফরিন ও ছোট মেয়ে কুলসুম তার বাবা অনেক আগে মারা য়ায়। মা আমেনা বেগম নিয়ে তার পরিবারসহ ক্লাবঘাট এলাকায় নিজ বাসায় থাকতো। পেশায় বাচ্চু মিয়া চা বিক্রতা।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মুরাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণে ট্রান্সফমার বিস্ফোরণ হয়ে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের চালেরর উপর পরে। এতে শিশুসহ এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭/আপডেট: ১৬২১
এজেডএস/এএটি/বিএস