রোববার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া হলে আমরণ অনশনের মাধ্যমে আত্মাহুতির হুমকি দেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নুরুল ইসলাম বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইন রোডের আম বাগান এলাকার বাসিন্দা।
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাকরি হারাতে হয়েছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল বলেন, ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট আশাতে লোন অফিসার হিসেবে যোগদান করি। ২০০৪ সালে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি হয়। গত ১৯ বছরের কর্মজীবনে চুরি, আত্মসাত কিংবা নারী কেলেঙ্কারিসহ কোনো ধরনের অপরাধের অভিযোগ নেই। কিন্তু এনজিও’র ভোলা জেলার ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসেন জমাদ্দারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমাকে চাকরি হারাতে হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কবির হোসেনের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য রয়েছে। রূপাতলী এলাকায় আমার বাবার কেনা জমি থেকে ৫ শতাংশ জমি দাবি করেন তিনি। কিন্তু আমি তার চাহিদা পূরণ করতে পারেনি। সে থেকেই তিনি আমাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন।
তিনি বলেন, চাকরির একপর্যায় কালেকশনের ৫ হাজার ২৮০ টাকাসহ মোট ৭ হাজার ২৮০ টাকা দেরিতে জমা দেওয়ার অপরাধে আমাকে চাকরিচ্যুত করেন কবির হোসেন। আমাকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি আমার ব্রাঞ্চের দুই কর্মচারীর ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এনজিও’র প্রেসিডেন্টের দেওয়া সার্কুলার অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চাকরি ফিরে পেতে আপিল করি। কিন্তু এতে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হওয়া দুই কর্মচারীর শাস্তি বাতিল হলেও আমার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
চাকরিচ্যুত নুরুল বলেন, আমার নতুন করে চাকরি পাওয়ার বয়স নেই। তাই চাকরি ফিরে না পেয়ে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে এবং পরিজন নিয়ে দারিদ্রতার নিম্নস্তরে নেমে অসহায়ভাবে মানুষের সাহায্য নিয়ে বেঁচে আছি।
তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য ও দৃষ্টি কামনার পাশাপাশি এর সুবিচার দাবি করছি। যতক্ষণ ক্ষমা করে চাকরি ফিরিয়ে না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত ‘আশা’ টাওয়ারের সামনে আমরণ অনশন করে প্রয়োজনে আত্মাহুতি দিবেন বলেও জানান নুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এমএস/জিওয়াই/ওএইচ/