নিলামে উঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে নোয়া, এলিয়ান, প্রিমিও, টয়োটা প্রোবক্স, এক্সজিও, নিশান, টয়োটা ফিল্ডার।
রোববার (১৮ জুন) মোংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ব্যবস্থাপক মো. সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময় মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা ২৮৪টি গাড়ি নিলামে উঠছে।
তিনি জানান, খুলনা কাস্টমস হাউজ ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এমনকি ঢাকায়ও নিলামের গাড়ি ক্রয়ের দরপত্র জমা দেওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের চেয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানিকারকদের সুযোগ সুবিধা বেশি। মোংলায় গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা একেবারেই নেই। গাড়ি সংরক্ষণের সুবিধা বেশি। যার কারণে গাড়ি আমদানিকারকরা মোংলাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। মোংলা কাস্টমস হাউজের একটি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের সংরক্ষিত ইয়ার্ডে ২৮৪টি গাড়ি পরে ছিল। এ অবস্থায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২১ জুন নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। নিলামে উঠানোর জন্য ক্যাটালগ তৈরিসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে এ বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। মোংলা বন্দর থেকে গাড়ি নিতে চট্টগ্রাম থেকে কম খরচ ও সময় লাগে। যে কারণে গাড়ি আমদানিরকরা এখন মোংলা বন্দর ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। নিলামে উঠা ২৮৪টি গাড়ি ছাড়াও বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে রয়েছে নামি-দামি ব্রান্ডের অনেক গাড়ি।
এদিকে নিলামে কম দামে নামি-দামি গাড়ি কেনার জন্য খুলনা ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করছেন। কেউ কেউ নানাভাবে লবিং করছেন গাড়ি ক্রয়ের জন্য। তবে জানা গেছে, কাস্টমস আইন অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই গাড়ি নিলাম করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
আরআইএস