শনিবার (১৭ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি একই উপজেলার নগড়পাড়া এলাকার সিরাজ ভূঁইয়ার মেয়ে।
নিহতের বাবা সিরাজ ভূঁইয়া জানান, তিনি একজন মাটি কাটার শ্রমিক। অতি কষ্টে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় মেয়ে সুমি আক্তারকে লেখা-পড়া করিয়েছেন। গত ১১ মাস আগে পার্শবতী ইছাখালী এলাকার মারফত আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া জোরপূর্বক অপহরণ করে সুমিকে বিয়ে করেন।
জুয়েল একজন মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক হিসেবে সিরাজ ভূঁইয়ার কাছে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে আসছে জুয়েল। এছাড়া কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ টাকাও নিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, ইদানিং আরও এক লাখ টাকা যৌতুক ও একটি মোটরসাইকেলের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো জুয়েলসহ শশুর বাড়ির লোকজন। দাবি করা যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল না দিতে পারায় সুমিকে শারীরিক নির্যাতন করতো। রাতে স্বামী জুয়েল মিয়াসহ শশুর বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধে হত্যার পর সুমিকে গালায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে বলে দাবি করেন সিরাজ ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল বাংলানিউজকে জানান, ইছাখালী এলাকায় শশুর বাড়িতে গৃহবধূ সুমি আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
তবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা এখন বলা যাচ্ছে না। রোববার (১৮ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের বাবা সিরাজ ভূঁইয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুর মূল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
জিপি/