শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিহাবের পরিবার দাবি, শিহাব ৫-৬ মাস ধরে অসুস্থ্য ছিলো।
তবে ঢামেক জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেছেন, শিশুটির শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গনিপুর গ্রামের কাউসার আহমেদের ছেলে শিহাব। বংশাল নবাব কাটারা এলাকার একটি ৪তলা বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো।
শিশু শিহাবের বাবা কাউসার আহমেদ জানান, স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেনের নার্সারিতে পড়াশুনা করতো শিহাব। বিকেলে খাওয়ার পর সে বমি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এ সময় খবর পেয়ে আমি শিহাবকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। অসুস্থতার জন্য শিহাব খুব দুর্বল ছিল। অনেক সময় পড়ে গিয়েও ব্যথা পেয়েছে সে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান শিশু শিহাবের মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে তার বাবা-মায়ের কোনো অভিযোগ না থাকলেও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশুহত্যা বেড়ে যাওয়ায় আমার কাছে বিষয়টি বেশ সন্দেহ হচ্ছে।
তিনি বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মৃত শিহাবের মায়ের নাম সুমি। গত এক বছর আগে সুমি তার স্বামী ও ছেলেকে রেখে অন্য পুরুষ সঙ্গে চলে যান। এরপর কাউসার এক ছেলে সন্তানসহ খাদিজা বেগমকে বিয়ে করেন।
শিশু শিহাব তার সৎ মা খাদিজার সঙ্গে থাকতো। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। তার বাবা কাউসার, সৎ মা খাদিজা ও আসল মা সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশে সময়: ০২২২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এজেডএস/জিপি