আমাদের পোড়া কপাল মহানগরীর ভেতরে থেকেও সাঁকো পার হই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়ার ভাই ভাই গলির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাস্তা হয়নি বলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা।
ওই গলির প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল খালেক মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, নিচু এলাকা হওয়ায় বারো মাসই এ গলির শেষ মাথায় পানি জমে থাকে। যে কারণে সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দুই যুগেও সেই সাঁকোর স্থানে সড়ক হয়নি। মানুষ জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই আসা-যাওয়া করছেন।
তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুরা। বছরের পর বছর সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না তারা।
এ গলির বাসিন্দারা তাদের দুঃখের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এলাকাবাসী চাঁদা তুলেই ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। শীত মৌসুমে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সাঁকো ব্যবহারে থাকে মারাত্মক ঝুঁকি। রাস্তা না থাকায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী নারীদের চরম দুর্ভোগ পড়তে হয়।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সরেজমিনে মোল্লাপাড়া মেইন রোড দিয়ে ভাই ভাই গলির সাঁকো অংশে পা রাখলেই মনে হচ্ছে কোনো অজপাড়াগাঁ। সব সময় পানি জমে থাকায় ময়লা-আবর্জনা পরে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সাঁকোর কিছু অংশ ভাঙা থাকায় কয়েকজন নারী ও শিশু পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, বরাদ্দের অভাবে মোল্লাপাড়ার ভাই ভাই গলির সাঁকোর স্থানে রাস্তা করা যাচ্ছে না। তারপরও এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রজেক্ট প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। বরাদ্দ হলেই সড়কের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এমআরএম/ওএইচ/