ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আগে ৯৫ গার্মেন্টসে অসন্তোষের আশঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
ঈদের আগে ৯৫ গার্মেন্টসে অসন্তোষের আশঙ্কা

ঢাকা: বকেয়া বেতন ও বোনাস ইস্যুতে চলতি ঈদুল-ফিতরের আগেই তৈরি পোশাক সেক্টরে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে কলকারখানা পরিদর্শন বিভাগের আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ৯৫টি কারখানার নাম।

তবে বেতন বোনাসকে কেন্দ্র করে এই ৯৫টি কারখানায় যেন ঈদের আগে কোনো অসন্তোষ না হয় সেজন্যে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ৯৫টি গার্মেন্টস এর তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন গার্মেন্টস, শেড ফ্যাশন লিমিটেড, এবিএম গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানা।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, ঈদের আগে বেতন বোনাসকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ যেন প্রতিরোধ করা যায় সেজন্য সরকার একটি তদন্ত করে।

এবার ঈদের আগে ৯৫টি গার্মেন্টস কারখানায় বকেয়া বেতন বোনাসকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

তবে যে কোনো উপায়ে সমাধান করার নির্দেশনা মালিকপক্ষকে দিয়েছে কলকারখানা অধিদপ্তর। সে লক্ষ্যে যে কোনো উপায়ে ২০ তারিখের মধ্যেই বোনাস দেয়ার অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকা টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফোডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে এমন কারখানা হিসেবে ৯৫টি গার্মেন্টসকে চিহ্নিত করার ঘটনাটি সত্য। সম্প্রতি আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির তদন্তে এসব তথ্য বের হয়ে এসেছে। আর সে জন্য কলকারখানা পরিদর্শন বিভাগ আমাদেরকে বৈঠকে ডেকেছিলো। শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে এক সাথে হয়ে যেকোনো ধরনের অসন্তোষ প্রতিরোধের নির্দেশনা দেয়া হয় বৈঠকে।

অন্যদিকে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকদের আশুলিয়া গাজীপুর এলাকার কারখানাগুলোকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর মধ্যে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কলকারখানা পরিদর্শন বিভাগ।

এসব বিষয়ে সংস্থাটির উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যে ৯৫টি কারখানায় অসন্তোষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেসব জায়গায় আমাদের ইন্সপেক্টররা সব সময় কাজ করছে। সকল কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অসন্তোষ প্রতিরোধের জন্য আমরা প্রস্তুত। আশা করছি সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।    


তবে বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, সব কিছুর পরও কিছু কারখানা তাদের বেতন বোনাস দিতে ব্যর্থ হবে। যে কারণে পরিস্থিতি ২৫ রমজানের পরে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি নন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক ইস্যুর বিষয়টির তদারকিতে থাকা বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
ইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।