ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ হাসিনার প্রতিবন্ধী অগ্রাধিকার নীতি জাতিসংঘে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
শেখ হাসিনার প্রতিবন্ধী অগ্রাধিকার নীতি জাতিসংঘে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রতিবন্ধীদের অধিকার কথা বলছেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোমেন

নিউইয়র্ক: প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা ও মৌলিক স্বাধীনতাকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বতর্মান সরকার একটি অগ্রাধিকার নীতি হিসেবে বিবেচনা করে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে মত দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা কমিটি অনুস্বাক্ষরকারী দেশসমূহের ১০ম সম্মেলন উপলক্ষে বক্তৃতা করছিলেন তিনি।  

স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীত্ত্বই দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণ।

 

আন্তর্জাতিক ফোরামকে তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কমিটি-সিআরপিডি’র অষ্টম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বাংলাদেশ সংবিধানের নীতিমালার সাথে সিআরপিডির নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ।  

বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের কল্যাণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩’ এবং নিউরোডেভোলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রটেকশান ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩ প্রণয়ন করেছে বলেও জানান ড. মাসুদ বিন মোমেন।  

তিনি বলেন, দেশের প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সমমর্যাদা, অধিকার, পূর্ণ অংশগ্রহণ এবং সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠায় সরকার যেসকল দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মোমেন।  

তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য পূর্ণ সুযোগসুবিধা সম্বলিত অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও হোস্টেল প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি পৃথক প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স এবং প্রতিবন্ধী স্পোর্টস কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্স হবে প্রতিবন্ধী, অটিজম ও নিউরোডেভোলপমেন্ট ডিজঅর্ডার আক্রান্ত ব্যক্তিবগের্র জন্য সেন্টার অব এক্সেলেন্স। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর কন্য সায়মা হোসেন দেশের অটিজম ও অন্যান্য নিউরোডেভোলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন বলেও স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।  

বাংলাদেশ জাতিসংঘে "অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি), ডেভোলপমেন্টাল ডিজঅডার্রস (ডিডি) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অক্ষমতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের আর্থ-সামাজিক চাহিদা সম্বলিত রেজুলেশন উত্থাপন করে যা সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রতি বছর  বাংলাদেশ মিশন এপ্রিল মাসের ২ তারিখে 'বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে হাই লেভেল ইভেন্ট আয়োজন করে ।

রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, বতর্মান সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ও সকল উন্নয়ন প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা এসডিজি ২০৩০ এর ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে এবং যেখানে কেউই বাদ পড়বে না।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কমিটি অনুস্বাক্ষরকারী দেশসমূহের ১০ম সম্মেলন গত ১৩ জুন শুরু হয়ে ১৬ জুন শেষ হয়।  

জাতিসংঘ ২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কনভেনশন এবং এর অপশনাল প্রটোকল গ্রহণ করে এবং এটি ২০০৮ সালের ৩ মে থেকে কার্যকর হয়।

বাংলাদেশ সময় ০৩০৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।