ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহী মাতাচ্ছে দিল্লির ‘তাওয়া পরোটা’

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
রাজশাহী মাতাচ্ছে দিল্লির ‘তাওয়া পরোটা’ দিল্লির ‘তাওয়া পরোটা’/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: মাংসের সেদ্ধ কিমা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি হয় ‘তাওয়া পরোটা’। পাওয়া যায় পাশের দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তবে তাওয়া পরোটা খেতে আর সুদূর দিল্লি যেতে হবে না। মনভোলানো স্বাদের এ খাবারটি এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহীতেই।

এরইমধ্যে মুখরোচক এ খবারটি ইফতারের প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইফতারের প্লেটে নিত্যনতুন খাবার পছন্দ করেন এমন রোজাদারদের কথা মাথায় রেখে খাবারটি তৈরি করছে রাজশাহীর অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘চিলিস’।

মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থিত চিলিস বাংলা রেস্তোরাঁয় ইফতারের পসরায় আরও অনেক খাদ্যপণ্য রয়েছে। কিন্তু দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু তাওয়া পরোটা মন মাতাচ্ছে ভোজনপ্রিয় রোজাদারদের। তাওয়া পরোটার সঙ্গে থাকছে হট ব্রিফ গ্রিল। প্রতি পিস তাওয়া পরোটার মূল্য রাখা হচ্ছে ৪০ টাকা। আর হট ব্রিফ গ্রিলসহ ফুল প্যাকেজের মূল্য ধরা হচ্ছে ১২০ টাকা। দুপুরের সূর্য পাশ্চিম আকাশে ঢলতেই নতুন এ ইফতারপণ্যের জন্য ভিড় বাড়ছে চিলিসে।
চিলিস বাংলা রেস্তোরাঁয় ইফতারি বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েণ্টিফোর.কমপ্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান রিংকু বাংলানিউজকে জানান, মাংসের সেদ্ধ কিমা, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, সয়া সস, টমেটো সস, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় এ তাওয়া পরোটা। ঢাকার খ্যাতিমান বাবুর্চি শানু মিয়া ও তার চার সহযোগীকে রমজান মাসে নিয়ে আসা হয়েছে রাজশাহীতে।

দিল্লির ঐতিহ্যবাহী তাওয়া পরোটা তাদের হাতেই তৈরি হচ্ছে। তাদের অন্যান্য আকর্ষণের মধ্য রয়েছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বোরহানি। যার দাম প্রতি লিটার ১৫০ টাকা, লাচ্চি ১৬০ টাকা, লাবাঙ্গ ১৬০ টাকা, ফালুদা প্রতি কাপ ৭৫ টাকা।

এছাড়াও প্রতিবারের মতো রয়েছে খাশির তেহারি ১৮০ টাকা, শাহী হালীম ১৮০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৩৪০ টাকা, বোম্বে জিলাপি ১২০ টাকা, শিক কাবাব ৫০ টাকা, লিভার কাবাব ৫০ টাকা, সরমা বিফ ৬০ টাকা, চিকেন টিক্কা ১০০টাকা, বিফ সাসলিক, চিকেন সাসলিক ও ফিস সাসলিক প্রতি ৪০টাকা, ফ্রেস চপ ৫০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ৮৫ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে রিংকু বলেন, দেশি-বিদেশি বিখ্যাত খাবার ও তার মান বজায় রাখতে প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর এসব খাবার সাধারণ বাবুর্চিরা তৈরি করতে পারেন না। ঢাকা থেকে বাবুর্চি আনতে হয়। এ কারণে বিশেষ আইটেমের দাম বেশি। তবে পিঁয়াজু, চপ, কিমা, বুট, খেজুর, জিলাপিসহ অন্য আইটেমের দাম কমই রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।