সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন কলাপাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষ ও ও রাঙাবালি এলকার চরাঞ্চলের মানুষ।
এসব উপজেলায় প্রশাসন ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি সভাসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে সাধারণ মানুষকে সেখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে।
পটুয়াখালী জেলার ৩৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এরইমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, তবে সময়ের সাথে সাথে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।
ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, তার আওতাধীন দশমিনা, কালাইয়া, গলাচিপা, রাঙাবালি, বরিশাল, মঠবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ৩০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার খবর রয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল অঞ্চলে সিপিপির ৬১৫০ জন স্বেচ্চাসেবক আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
অপরদিকে পটুয়াখালীতে ১১১টি মেডিকেল টিম গঠন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান।
কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল আকন জানান, বেড়িবাঁধের বাইরের গঙ্গামতি পর্যটন পল্লিসহ বিভিন্নস্থানের সাধারণ মানুষকে সতর্ক থেকে আগেভাগেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সিপিপি এবং মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করেছেন।
এদিকে দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারণে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠির সব রুটে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, ঘূর্নিঝড়ের কারণে ৪ থেকে ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এছাড়া বরিশালের ওপর থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক গাজী মো সাইফুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ১০২টি। জেলায় ২৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে চর এলাকার লোকজনের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। দুই হাজার প্যাকেট খুচরা খাবার মওজুদ রাখা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমএস/আইএ