ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উপকূলের আরো কাছে ‘মোরা’  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
উপকূলের আরো কাছে ‘মোরা’   উপকূলের আরো কাছে ‘মোরা’ , ছবি: উজ্জ্বল ধর

ঢাকা: উপকূলের আরো কাছে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোরা। মধ্যরাতে উপকূল থেকে এটি ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
 

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্যরাত ১২টায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ আরও সামান্য উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল।


 
ঘুর্ণিঝড়টি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কি. মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কি. মি. দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
 
এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম - কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
 
ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
 
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
 
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
 
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮  নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
 
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সহ ঘন্টায় ৮৯-১১৭ কি. মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
 
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ করছে প্রশাসন। এরই মধ্যে সোয়া তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর।

আরো এগিয়ে এসেছে মোরা, বাতাসের বেগ ১১৭ কিমি
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/পিএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।