সোমবার (২৯ মে) দুপুরে প্রথমে অসুস্থ ওই মহিলাকে দেখতে তেজপাটুলী গ্রামে ছুটে যান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার।
পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে তাকে দেখতে ছুটে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউএনও ওই মহিলার চিকিৎসার খরচসহ যাবতীয় দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দেন।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার জানান, ওই বৃদ্ধার ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা বিয়ে করেছেন। সন্তানাদিও আছে।
বয়সের ভারে অচল মা এখন তাদের কাছে যেন বোঝা। ৩ সন্তানের ঘরে পালাক্রমে ভরণপোষনের জন্য স্থানান্তর করা হয় বৃদ্ধা মাকে।
বড় ছেলের বাড়িতে ৩ মাস ভরন-পোষণের পর মেজো ছেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের স্থানান্তর হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মেজো ছেলে মাকে ভরন-পোষণ না করে পাঠিয়েছিল ছোট ভাইয়ের কাছে। ছোট ভাই মাকে নিজের টিনশেডের ঘরে না রেখে গোয়াল ঘরে রেখেছিল।
শিয়ালের দল কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে বৃদ্ধা মাকে। এরপরেও তার চিকিৎসা হচ্ছিল না। বিষয়টা জানাজানি হলে তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এমপি এবং ইউএনও।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস