সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর এ জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পরিচালক আহমাদুল হক রাত ৮টায় বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর স্থানীয় প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘আক্রান্ত হলে সময় নষ্ট না করে দুর্গতদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরাও সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। ’
সিপিপির তালিকাভুক্ত ৫৫ হাজার ২৬০ জন কর্মী রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকার স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। তারা ১০ নম্বর সিগন্যালের সাইরেন বাজাচ্ছেন, মাইকিং করছেন।
সিপিপির কর্মসূচি অনুযায়ী, ৮-১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের সময় মেগাফোন, মাইক, হ্যান্ড সাইরেন, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম দিয়ে স্থানীয় জনগণকে অবহিত করা হয়। এসময় উত্তোলন করা হয় তিনটি সংকেত-পতাকা।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রাতে বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে।
মানুষের ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে জরুরি নির্দেশনা এবং সকালেই অর্থ ও প্রয়োজনীয় খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭/আপডেট
এমআইএইচ/এএ/জেএম