ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশাল এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
বরিশাল এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে বরিশাল-পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি পুরো এলাকায় গুমোটে আবহাওয়া বিরাজ করলেও বিকেল থেকে হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।  

সোমবার (২৯ মে) এর আগে দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হয়।

এদিকে মোরা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।

একই সঙ্গে উপকূলীয় সকল নদ-নদীর পানি ফুসে উঠেছে।

স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল।

তবে ঘূর্ণিঝড়ে জীবন ও সম্পদহানীর পরিমাণ কমাতে ৩৫১টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রায়ণ কেন্দ্রকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরার সকল ট্রলার নিরাপাদ আশ্রয়ের জন্য মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর, ঢোসসহ বিভিন্ন নিরাপদ নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনছার মোল্লা জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়া সাগর বক্ষে মাছ ধরারত শত শত ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরে এসে পৌছেছে। একই সঙ্গে বহু ট্রলার ঢোস এবং ফাতরা বনাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় এখন মাছধরা ট্রলারগুলো বর্তমানস্থানে নিরাপদ নয়, তাই আরো ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আশপাশের বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। ঢেউয়ের তোরে বেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলে হাজারো মানুষ বিপাকে পরবেন বলে জানান তিনি।

মহিপুর থানার নিজামপুর গ্রাম সংলগ্ন বাসিন্দা ইউসুফ আলী জানায়, নিজামপুর গ্রামের বেড়িবাঁধের পানি নিজামপুর, কমরপুর, সুধীরপুরসহ আশপাশের তিন চারটি গ্রামে প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তাল‍ুকদারের সভাপতিত্বে সোমবার সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলা করা এবং প্রস্তুতি বিষয়ে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি কন্ট্রল রুম খোলা রাখা, দূর্যোগ পূর্বকালীন মানুষকে সচেতনাতা বৃদ্ধির জন্য সিপিপি স্বেচ্ছা সেবক, এনজিও কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক সহ ইউনিয়ন পরিষদের দূব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রচার প্রচারনা এবং সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মানবিক সহায়তা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম সাদিকুর রহমান জনান, কলাপাড়ার চরাঞ্চল এবং নিচু অঞ্চলের মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য তাদের সজাগ র‍াখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএস/বিএস

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ