তেল ও চর্বির পরিমাণ কমাতে অনেকেরই পছন্দ স্বাস্থ্যকর খাবারটি। পেট ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি স্বাদেও আসে ভিন্নতা।
ইফতারে দই-চিড়া খেতে ও কিনে নিয়ে যেতে অনেকেই ছুটে যান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা মিষ্টি মুখ ও ধামরাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে। ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশের সাদামাটা দোকান দু’টির এ খাবারের জন্য রয়েছে বিশেষ খ্যাতিও।
বছরের অন্যান্য সময়ও এখানে সারা দিন-রাত দই-চিড়া বিক্রি হয়। তবে রমজানের পুরোটা সময় এখানে বেশি ভিড় জমে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রোজার মাসে দুপুরের পর থেকেই সড়কের দু’পাশে ভেতরে-বাইরে টেবিলে সাজিয়ে বিক্রি হয় নানা আইটেমের ইফতারি। এর মধ্যে রমজানের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে দই-চিড়া সাজানো হয়। দই-চিড়াতে কয়েক যুগ ধরে ঐতিহ্যও ধরে রেখেছেন দোকানিরা। ইফতারি সামগ্রী কিনতে ব্যস্ততা শুরু হয় গ্রামীণ প্রান্তিক এ জনপদের বাসিন্দাদের মধ্যেও। বিকেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে।
দোকানিরাও ব্যস্ত হয়ে ওঠেন ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেই অনেকেই এখানে আসেন দই-চিড়া নিয়ে যেতে। প্রতি প্লেট দই-চিড়া বিক্রি হয় ৫০ টাকায়।
বেসরকারি চাকরিজীবী উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম এসেছেন এখান থেকে দই-চিড়া নিয়ে যেতে। তিনি বলেন, ‘এ দোকানের দই-চিড়ার মান খুবই ভালো। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর এ খাবার শরীরের জন্য পুষ্টিকর। কয়েক যুগ ধরে এ দই-চিড়াই হয়ে উঠেছে আমাদের ইফতারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’।
দই পেটের সুস্থতা রক্ষা করতে সহায়তা করে এমন মন্তব্য করে নগরীর সানকিপাড়া এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, ইফতারে সারারাত ভেজানো নরম চিড়ার সঙ্গে দই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। দই শরীরের জন্য শক্তিদায়কও বটে। এ কারণেই বাড়ির চিড়া আর বাজারের দইয়ে চলে ইফতার।
ঢাকা মিষ্টি মুখের দোকানি জানান, ‘দই-চিড়া শতভাগ দেশি খাবার। মাত্র ৫০ টাকায় পেটপুরে খেতে পারেন’।
ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারে রোজাদারদের প্রথম পছন্দ খেজুর ও শরবত। এরপরের চিন্তা পেটের। ক্ষতিকর কোনো উপাদান না থাকায় দই-চিড়াতেই আগ্রহ সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএএএম/এএসআর