এরই মধ্যে জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা শুরু হয়েছে। খোলা রাখতে বলা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারগুলো।
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার দুই হাজার এবং আশাশুনি উপজেলার এক হাজার তিনশ’ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। বিপদ সংকেত আরো বাড়লে জনগণকে সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সুন্দরবনে মাছ ও মধু আহরণকারীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের জন্য জেলার ১৩২টি সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় পাঁচটি করে পিকআপ ও ১০টি করে ইঞ্জিন চালিত নৌযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভা হয়। এসময় উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সতর্ক রাখার পাশাপাশি তাদের সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশাশুনি ইউএনও সুষমা সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, তার উপজেলার সব সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে উপজেলার জনগণকে সরিয়ে নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসআই