কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। সাগরে থাকা জেলেদের তীরে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি কলাপাড়ায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশসানের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি সভা করেছে।
দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিমূলক সভায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
পাশাপাশি উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা প্রচার করছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জনগণকে সতর্ক করতে প্রচার করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলার সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি নিয়মানুয়ায়ী সবাইকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে।
পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ৬৫ ফুটের নিচে এম এল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের খবরে পটুয়াখালীর বাঁধ ভাঙা জনপদ নিজামপুর, কোমরপুর, সদরপুর, পুরানমহিপুর, চারিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, নাওয়াপাড়া, ব্যুরোজালিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম আতঙ্কে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএস/আরআর/এমজেএফ