ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবির হলে হলে আনন্দঘন ইফতার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
ঢাবির হলে হলে আনন্দঘন ইফতার ঢাবির হলে হলে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন ইফতার/ছবি: জিএম মুবিজুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পবিত্র রমজানে মুসলমানদের দুটি আনন্দঘন মুহূর্ত সেহরি ও ইফতার। এ দুই সময়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারলে প্রশান্তি আসে মনে। কিন্তু পরিবারের সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতার করছেন।

সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়তেই শিক্ষার্থীরা নিতে শুরু করেন ইফতারের প্রস্তুতি। সবাই মিলে টাকা তুলে কী কী আইটেম দিয়ে ইফতার করবেন সেই পরিকল্পনা চলে অনেকক্ষণ।

কে কী কাজ করবে তাও ভাগ করে নেন সবাই। এরপর হলের ক্যান্টিনসহ আশেপাশের দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয় ইফতার সামগ্রী।

হলগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, চার-পাঁচটি দোকানে ইফতার পণ্য সাজিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি। ছেলেদের হল হওয়াতে কাঁচা শসা, পেঁয়াজ, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মারিচ সব কেটে প্যাকেট করে রেখেছেন বিক্রেতারা। মৌসুমী ফল আম, লিচু, আনারস, কলা, খেঁজুর রয়েছে ইফতারির দোকানে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো কিনছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাফী। থাকেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। হলে ইফতার নিয়ে তিনি বলেন, ৩ বছরের ক্যাম্পাস লাইফে এই ১ম কোনো রোজায় ক্যাম্পাসে থাকলাম। সবসময় পরিবার, প্রিয়জনদের সাথেই সেহরি ইফতার করেছি। বন্ধু, ছোট ভাই, বড় ভাইদের নিয়ে এক অন্য রকম ভালো লাগা পেয়েছি এবার। হলের সেহরি ও ইফতারের আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ।
ঢাবির হলে হলে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন ইফতার/ছবি: জিএম মুবিজুর
হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ বলেন, হলের বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। বিশেষ করে ইফতারি তৈরির সময়টা। বাসায় থাকলে যেটা আম্মু করতেন।

অন্যদিকে হলে প্রথম বর্ষের গণরুমের শিক্ষার্থীরাও বন্ধুদের নিয়ে সবচেয়ে পরিবেশে ইফতার করেন। ক্যাম্পাসে সম্পর্ক দৃঢ় করতে অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও এলাকাভিত্তিক সংগঠন ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসব সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা সেইসব অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হচ্ছে জুনের ১ তারিখ থেকে। অধিকাংশ বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে আবার অনেকের শেষ হয়েছে। যাদের শেষ হয়েছ তারা ইতিমধ্যে চলে গেছে বাসায়। আবার অনেকের পরীক্ষা শুরু হবে সামনে। চাকরি প্রত্যাশীসহ সব মিলিয়ে হলগুলোতে এখনও রয়েছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক হলে প্রশাসন থেকে একদিন উন্নত মানের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। বুধবার (৩১ মে) আমরা শিক্ষকরা ছাত্রদের সাথে একসাথে বসে ইফতার করব। হলে যত ছাত্র আছে আবাসিক-অনাবাসিক সবাই এতে অংশ নেবে। একসাথে ইফতার করার মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ