এর ফলে পাথরঘাটা উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে আকাশ মেঘলা।
এদিকে, গভীর সমুদ্রে শতশত মাছধরা ট্রলার থাকায় জেলেদের পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ এবং গভীর সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় সাগরে থাকা জেলেদের আগাম কোনো খবর দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ট্রলারগুলো নিরাপদে আসতে পারেনি। এ কারণে সাগরে থাকা অন্তত ৪ শতাধিক ট্রলার ও জেলেদের নিয়ে শঙ্কিত আমরা।
তিনি আরো বলেন, সুন্দরবন, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর কাছাকাছি ট্রলারগুলোতে আবহাওয়ার খবর পাঠাতে সক্ষম হলেও গভীর সমুদ্রের ট্রলারগুলোকে খবর পাঠাতে পারিনি।
বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি বলেন, ৩ থেকে ৪ দিনে অন্তত ৪ শতাধিক ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে। আবহাওয়া হঠাৎ খারাপ হওয়ায় এখনো কোনো ম্যাসেজ দিতে পারিনি।
অরপদিকে, ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি সভা আহ্বান করেছে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেল ৪টায় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলার সিপিপির টিম লিডার অলিউল ইসলাম বাবুল বলেন, প্রান্তিক জনপদে মাইকিং করা হচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. কামরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৪টায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে আমরা সতর্ক আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসআই