ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফিরে এলো ঢাকা থেকে নিখোঁজ বাবুগঞ্জের অপর যুবক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
ফিরে এলো ঢাকা থেকে নিখোঁজ বাবুগঞ্জের অপর যুবক

বরিশাল: রাজধানী বনানী থেকে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর নিখোঁজ হওয়া যুবকদের মধ্যে বরিশালের বাবুগঞ্জের দুই যুবকই পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।

প্রথমে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেহেদী হাসান পরিবারের কাছে ফিরে আসে। এর এক মাস পার হতেই রোববার (২৮ মে) দুপুরে ফিরে এসেছে সুজন ঘরামী নামের অপর যুবক।

বাবুগঞ্জের বাহেচরের নয়ঘর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আনিসুর রহমান ঘারমীর ছেলে সুজন প্রায় ৬ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলো।

তবে মেহেদী হাসানের মতো এতোদিন সে কোথায় ছিলো, কিভাবে ছিলো, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম সুজনের বাড়িতে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তিনি জানান, নিখোঁজ থাকার বিষয়ে সুজন তেমন কিছুই বলতে পারছে না। তবে মেহেদীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার তথ্যের মিল রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সুজনের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শনিবার (২৭ মে) রাতে ঢাকার আমিন বাজার এলাকায় এক চা দোকানের সামনে সে নিজেকে আবিষ্কার করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বাসে করে বরিশালে আসেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ এপ্রিল নিখোঁজের ৪ মাস ১৮ দিন পরে পরিবারের কাছে ফিরে আসে বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান।
 
মেহেদীর পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয় বাহেরচর এলাকার আটাশ বছরের যুবক মেহেদী হাসান। ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মেহেদীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন পুলিশে কনস্টেবলের চাকরি করেন।  

গত বছরের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে অসুস্থ বাবা ডাক্তার দেখাতে বড় সন্তান মেহেদীকে নিয়ে ঢাকায় বোনের বাসায় যান। তিনি ডাক্তার দেখিয়ে চলে এলেও চাকরির ইন্টারভিউর কারণে ছেলে ঢাকায় থেকে যায়। ১ ডিসেম্বর বিকেলে ফুপুর বাসায় ল্যাপটপ সারার কথা বলে পরিচিত সুজনের অফিস বনানীতে যায়- এরপর থেকে মেহেদীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের ঘটনায় তার চাচা মাহাবুব হোসেন ৩ ডিসেম্বর বনানী থানায় এ সক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সে সময় মেহেদী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে জানায়, ওইদিন বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে নিখোঁজ অপর এক যুবক সুজনের সঙ্গে খেতে যান। সেখানে সুজনের এক বন্ধু ছিলো যার সঙ্গে আরও এক ছেলে ছিলো। সন্ধ্যায় খাওয়ার পরে তারা বের হয়ে রিকশায় করে ফিরছিলেন। এসময় কেউ একজন পেছন থেকে তার হাতে হাত দিয়ে মুখের সামনে কিছু একটা ধরেন।

এরপর আর কিছুই তার মনে নাই। শুধু একটি জায়গায় তার চোখ ও হাত বাধা অবস্থায় রেখে দেয়া হয়। খাওয়ার কিছু দিলে হাত খুলে দেয়া হতো।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।