রোবরার (২৮ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জমির মূল্য পুনর্নির্ধারণের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থ বিভাগের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কমিটির দায়িত্বে থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের দিয়ে কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বর্তমানে ভূমি রেজিস্ট্রেশন খরচ খুব বেশি, যার ফলে কম সংখ্যক ভূমি এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। অনেক জমি এবং ফ্ল্যাট এখন নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিবর্তে পারস্পরিক বোঝার মাধ্যমে হাত পরিবর্তিত হচ্ছে।
বৈঠকে, ২০১২ থেকে ১৫ অর্থবছরে ভূমি খাত থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করে বলা হয় যে, এই খাত থেকে যেহারে আয় কমছে তার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ নিবন্ধন খরচ এবং উচ্চ স্থল মূল্য পতন।
বর্তমানে ভূমি নিবন্ধন ফি ১৪ থেকে ১৯ শতাংশ, ফ্ল্যাট নিবন্ধন ফি ১২ দশমিক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালে সরকার একটি নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। জমিটির গড় মূল্য নির্ধারণে একটি ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে উন্নত ও নিম্নভূমি মূল্য সমানভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে।
একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় কম কয়টির প্রতিটি কক্ষে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং উচ্চমানের ৬লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সরকার গড় মূল্য নির্ধারণ করে ৪ টাকায় এবং মূল্যের উপর নিবন্ধন ফি বুঝতে পারে।
কম জমি ক্রয়কারী জমি প্রকৃত মূল্য তুলনায় অনেক বেশি নিবন্ধন ফি দিতে বাধ্য করা হয়। অপর দিকে, উন্নত ভূখণ্ডের ক্রেতা কম নিবন্ধন ফি প্রদান করে।
সূত্র জানায়, সভায় নতুন কমিটিকে নিম্ন ও উচ্চ স্থল বিভাগের যথাযথ শ্রেণিবিভাগ দ্বারা জমি পুনর্নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি মুহিত।
বাংলাদেশ সময়: ২৫২৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এসই/এসএইচ