‘চারশ বছরের’ ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতারের বাজারটি সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটাকে সরানোর পরিকল্পনাও তাদের নেই।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে পুরান ঢাকার চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র।
চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার পরিদর্শন করে মেয়র বলেন, প্রিয় শহর, ঢাকার চকবাজারের ইফতারের যে পসরা এখানে বসে তা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং আমাদের সংস্কৃতির অংশ।
‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছর তাদের (ইফতার ব্যবসায়ী) নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর সব কিছু নিয়ে রাখবো। আগামী বছর রমজানের শুরুতে তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো, যাতে তারা খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হন। ’
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতারের কারণে অনেক মানুষের সমাগম এবং ভিড় তৈরি হয়।
যানজট সৃষ্টির কারণে অন্য জায়গায় নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাইলে মেয়র বলেন, চকবাজারের ইফতারের বাজার ঐতিহ্যবাহী। অনেকে বলে থাকেন চারশ’ বছরের।
‘এই ভিড়, এটা ভাইব্রেন্ট, এনার্জিটিক, একটা উৎসবের মতো। এই যে অনেক মানুষ আসছেন, ইফতার সামগ্রী ক্রয় করছেন, চকবাজারের মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। এটা একটা উৎসবের মতো। আমরা চাই এটা আরও বেশি উৎসবমুখর থাকুক, এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রণের চিন্তা-ভাবনা আমাদের নেই। ’
যানজট নিরসনে রাস্তা একমুখী করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, যাতে চাপ সৃষ্টি না হয়।
স্যানিটারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ইফতারের বাজার পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। কোথাও কোনো ভেজাল থাকলে আমাদের টিম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বিগত দু’বছর অভিযানের ফলে মোটামুটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আসছে। এ অভিযানের ফলে ভোক্তারা মানসম্মত ইফতার সামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস