রোজার পুরো মাসটা মালিকপক্ষ থেকে ইফতারের বিশেষ বরাদ্দও থাকে।
রোববার (২৮ মে) প্রথম রোজায় বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানের কর্মচারীরা ইফতার তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
রাজধানীর নিউমার্কেট গাউসিয়া ও চাঁদনীচক ঘুরে ব্যবসায়ীদের ইফতারের এ আয়োজন করতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের ভিড়েও দোকানগুলোতে চলছে প্রস্তুতি।
নিউমার্কেটের খোলা জায়গায় ছোট টুল, টেবিল ও পাটি বিছিয়ে ইফতারি সামগ্রী কাটাকাটি করছেন অনেকে। তাদেরকে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনেপাতা, লেবু, আম, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, আপেল, খেঁজুর, মালটা, শশা, ধনেপাতা ও টমেটো ধোয়া-কাটার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে। তারা প্রত্যেকেই এ মার্কেটের কর্মচারী। যার যার দোকানের হয়ে ইফতারির আয়োজন করছেন।
প্রথম রোজা হওয়ায় মালিক-কর্মচারীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
ম্যাচিং সেন্টারের বিক্রেতা আসিফ বলেন, ‘পুরো মাস বেচা-কেনা জমজমাট থাকে। ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। আমরাও এ ভিড়ের মাঝেই ইফতারের আয়োজন করে থাকি। অবশ্য ইফতারের আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা আগে থেকে বেচা-কেনা বন্ধ রাখতে হয়। এরপর ইফতারি শেষে আবার বিক্রি শুরু করি’।
তিনি বলেন, ‘পুরো মাসে ইফতারির জন্য মালিকের বরাদ্দ থাকে। সবাই একসঙ্গেই আমরা ইফতার করি। এতে আনন্দও অনেক। বছরের অন্যান্য সময় তো আর দোকানে এ ধরনের আয়োজন হয় না। অনেক সময় কয়েকটি দোকান মিলেও একসঙ্গে ইফতারির আয়োজন করা হয়’।
বিউটি কর্নারের মালিক মমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রথম প্রথম ভিড় কম থাকায় আগেই ইফতার নিয়ে বসি। ১০ রোজার পর প্রচণ্ড ভিড়ে এ মার্কেটে হাঁটারও জায়গা পাওয়া যাবে না। তারপরেও ইফতারির আয়োজন নিয়মিতই করে থাকি। চাঁন রাত পর্যন্ত বিকেল হলেই সবাই একসঙ্গে ইফতার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এতে অনেক ভালোও লাগে’।
ব্যবসায়ীদের ইফতারির আয়োজনে মুড়ি, ছোলা, জিলাপি, হালিম, পেঁয়াজু, আলু-বেগুনের চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, বিভিন্ন ফলের জুস ও লাচ্ছি ইত্যাদি বিভিন্ন আইটেম থাকে। এছাড়া ফলের মৌসুম হওয়ায় সব ধরনের ফল রাখা হয় বলেও জানান মমিনুর।
রমজানের পুরো মাসের ইফতারের এ আয়োজনের মাধ্যমে মালিক-কর্মচারীদের মধ্যে উৎসবের পাশাপাশি এক ধরনের সৌহার্দ্যের বন্ধন তৈরি হয় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমসি/এএসআর