দু-এক দিনের মধ্যে ইফতার বাজার আরও জমজমাট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বরিশালের বিভিন্ন সড়ক ও অলিতে-গলিতে ঘুরে দেখা গেছে, রমজান শুরুর আগে থেকেই নামীদামী রেস্তরাঁগুলো ইফতার বিক্রির জন্য স্থান নির্ধারণ করে সাজিয়ে তুলেছেন।
পাশাপাশি মধু মাস হওয়ায় ইফতারের পাশাপাশি লিচু, আম, কাঠালের বাজারেও ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়।
বরিশালের নাজেম’স ইফতারের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদুর রহমান রেজা বাংলানিউজকে জানান, আল্লাহ রহমতে এ বছর রমজানের শুরুর দিন থেকেই ইফতার বেচাকেনা ভালো। তাদের ইফতার বিকেল ৬টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
প্রচণ্ড গরমে বাসায় ইফতার তৈরির আয়োজনটা কমে যাওয়ায় ইফতার বাজার শুরুতেই জমজমাট বলে জানিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন জানান, তাদের ইফতার মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা কিনে থাকেন। তাই তাদের দোকানে বন্ধের দিনে ইফতারের ক্রেতাদের ভিড় একটু কম থাকে। তবে এবার গরমের কারণেই হয়তো ক্রেতাদের ভিড় একটু বেশি বলে মনে করেন তিনি। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে রোজা রেখে ইফতার বানানোটা কষ্টের, কিন্তু ভেজালের কথা মাথায় রেখেই বাহির থেকে মূল ইফতারের পাশাপাশি অনুষঙ্গ হিসেবে দু’একটি পণ্য কিনছেন।
বরিশালে পুরান ঢাকার মতো ‘বড়-বাপের পোলায় খায় ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায়’ এর মতো স্লোগান দিয়ে একসঙ্গে অনেক দোকানে ইফতার বিক্রির প্রচলন না থাকলেও। বরিশালের ইফতার বাজারে হরেক রকম পসরা ও ঐতিহ্যবাহী ইফতারের দোকান রয়েছে অনেক।
যার মধ্যে, নাজেম’স, রোজ গার্ডেন, গার্ডেন ইন রেস্তোরাঁ, হট প্লেট, রিভার ক্যাফেসহ বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর নতুনভাবে ইফতারের বাজারে পণ্য নিয়ে এসেছে হোটেল গ্রান্ড পার্ক, হুপার্স, কিচেনসহ বেশকিছু নামিদামি রেস্টুরেন্ট।
এসবের মধ্যে নাজেমস কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে ইফতারিতে এখানে এ মুরগি মোসল্লাম ৩৫০ টাকা, খাসির রান ৪৫০ টাকা, গরুর কালো ভুনা কেজি প্রতি ৬০০ টাকা দরে পাওয়া যায়।
এর বাহিরে হাফ তেহেরি ১২০ টাকা, কাচ্ছি বিরিয়ানি ১৬০ টাকা, মোরগ পোলাই ১৩০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি শাহি জর্দ্দা, বুরিন্দা, চিকেন ফ্রাই, বোরহানি, ফিরনি, হালিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে দুইশ’ টাকার মধ্যে।
এছাড়া পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, চিকেন কাবাব, চিকেন পুলি পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে পিস প্রতি হিসেবে।
আবার এসব কিছুই অন্য নামি-দামি ইফতারের দোকানগুলোতেও পাওয়া যায় যার মূল্য ২৫ থেকে তিনশ’ টাকার মধ্যেই।
এদিকে নাম করা রেস্টুরেন্ট ও খাবারে দোকান ছাড়া পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, মাংসের চপ, সবজির বড়া, ডালের বড়া, জিলাপি পিস প্রতি দোকানভেদে ৩ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে শাহী জিলাপি আকার ভেদে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আর বুট কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
মধুমাসের রমজানে ইফতারে ক্রেতারা ফল ক্ষেতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন বলেই লিচু আম-কাঠালের বাজারেও রয়েছে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমএস/এএটি/এমজেএফ