রমজান উপলক্ষে গণকপাড়ায় অবস্থিত রহমানিয়া হোটেল এবারও নিয়ে এসেছে স্বাদ ও গুণে অতুলীয় ঐতিহ্যবাহী শাহী ফিরনি। প্রতিদিনের ইফতারের টেবিলে রসনা বিলাসীদের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানীর নামে পরিচিত এ ফিরনিই তাদের সেরা আকর্ষণ।
রহমানিয়া হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ আহমেদ খাঁন বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৬৬ বছর আগে ১৯৫১ সালে তার দাদা আনিসুর রহমান খাঁন ভারত থেকে সুস্বাদু এ খাবারটি রাজশাহীতে নিয়ে এসে প্রচলন শুরু করেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত শাহী ফিরনির কদর এতটুকুও কমেনি।
যুগের পর যুগ ধরে স্বাদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে এ শাহী ফিরনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাদ গ্রহণ করে চলেছে রহমানিয়ার এ ফিরনির। সে সময় মূল্য ছিল ছয় আনা। আর এখন ১৫ টাকা।
রিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারতের রাজধানীতে নাম-ডাক থাকায় এ ফিরনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুধ, পোলাওর চাল, গুড়সহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এ ফিরনি তৈরি করার পর মাটির একটি পাত্রে জমিয়ে রেখে পরে তা বিক্রি করা হয়। তবে আগে প্রতিদিন পাওয়া গেলেও বর্তমানে রমজান ও বিশেষ অর্ডার ছাড়া এ শাহী ফিরনি তৈরি করা হয়না। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এ ফিরনির জন্য রোজাদারদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা। তাই প্রথম রমজান থেকেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইটেমটি।
তিনি জানান, সেরা এ আকর্ষণ ছাড়াও রমজান মাস উপলক্ষে রহমানিয়া হোটেলে ইফতারের বিশাল আয়োজন রয়েছে। রহমানিয়ার ইফতারের প্রতি প্যাকেটে থাকছে- বুট, খেজুর, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, সমুচা, কলা, শসা, মুড়ি, কাঁচা বুট এবং নিমকপাড়া। যার মূল্য ৫০ টাকা।
এছাড়া খাসির তেহারি হাফপ্লেট ৬০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি হাফপ্লেট ১শ’ টাকা, কাচ্চি ১০০ টাকা, শিক কাবাব ৩০ টাকা, কাটি কাবাব ১৫ টাকা, চিকেন কাবাব ৩০ টাকা, চিকেন টিক্কা ২০ টাকা, চিকেন সাসলিক ২৫ টাকা, ক্রিসপি চিকেন ৬০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৮০-৩২০ টাকা, শামী কাবাব ৫০ টাকা, সমুচা খাসির (কিমা) ৬ টাকা, শাহী পিঁয়াজু ৫ টাকা, কোপ্তা ৫ টাকা, হালিম ৮০-১৪০ টাকা, সিঙ্গারা ৫ টাকা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি ১২০-২০০ টাকা, জিলাপি ১০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এসএস/জেডএস