শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক শফিককে রাত ১২টার দিকে ওই গ্রামের জামে মসজিদ থেকে আটক করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রোকেয়া ও শফিকের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শফিক ঘরে থাকা বড় একটি ছুরি দিয়ে রোকেয়াকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এসময় রোকেয়াকে উদ্ধার করতে গেলে সাইদুল ইসলাম ও ওমর ফারুক নামে দুই প্রতিবেশীকেও কুপিয়ে জখম করেন শফিক।
তিনি আরো জানান, গ্রামের লোকজন শফিককে ধাওয়া করলে তিনি স্থানীয় মসজিদে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে টিয়ারশেল ছুড়ে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এসময় তাকে পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।
আটক শফিককে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান দিলিপ কুমার।
তিনি আরো জানান, শফিক মানসিক বিকারগ্রস্থ। এ দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। রাতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রোববার (২৮ মে) সকালে রোকেয়ার ভাই আকবর আলী বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এসআই