কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর গত শুক্রবার বিকেলের দমকা বাতাসে বেশ দুলে পড়লো শেওড়া গাছগুলো। বহুদিন ধরে অযত্নে বড় হয়ে আকারে বেড়ে গেছে এগুলো।
মিডল্যান্ড ঘেঁষে চলতে গেলেই গাড়ির সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাড়ি খাচ্ছে এই শেওড়া। বুনোজঙ্গলের দৃশ্য নিয়ে হেলে পড়ছে সড়কে ওপর। এটি যে শুধু ঝড় তুফানের সময়কার দৃশ্য তা নয়, সব সময়ই এমনটা হচ্ছে।
এই সড়কে যারা নিয়মিত চলাচল করেন তাদের ভাষায়, গত কয়েক মাস ধরে চলছে এভাবেই। কোনো পরিবর্তন নেই। সড়কটির দিকে দৃষ্টি পড়ে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। অথচ তারাই এ সড়কের তত্ত্বাবধায়ক।
নগর পরিকল্পনবিদ ইকবাল হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, শুধু রোপনের উৎসব করলেন, কিন্তু লালন করলেন না- এটি তো মুর্খতা। এখন দেখতে হবে- আপনি রোপনের উৎসব চান, না গাছ সৌন্দর্য ও ফুল-ফল দিক সেটা চান?তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশনের এলাকাভিত্তিক কোন পরিচর্যা ব্যবস্থা নেই। সিটি করপোরেশনকে জিজ্ঞেস করলে তারা দায় এড়িয়ে বলে দেবে- এটা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে এই সড়কের দায়িত্বে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। সিটি করপোরেশন একবার শুধু গাছে পানি ঢেলেছে মাত্র। তার আগে গ্রামীণফোন এই সড়কটির সৌন্দর্য বর্ধনের দায়িত্বে ছিলো।
একই সড়কের জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী হয়ে বনানী পর্যন্ত মিডল্যান্ডের সৌন্দর্যায়ন এখনও টিকে আছে। কিন্তু অবহেলা ঠিক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এসএ/জেডএম