শনিবার (২৭ মে) রাত ১০টার পর থেকে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়। ভাস্কর্যের নির্মাতা মৃণাল হক সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
রাত ১২টায় সুপ্রিম কোর্ট গেইট দিয়ে পাথরবাহী দু’টি ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এর আগে শনিবার সকালে অ্যানেক্স ভবনের সামনে বেদী নির্মাণ করা হয়।
গত ২৬ মে (শুক্রবার) মধ্যরাতে ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটক থেকে অপসারণ করা হয়। ইসলামী সংগঠনগুলোর দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্যটি।
ভাস্কর্যের নির্মাতা মৃণাল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। আগের স্থানে যে সম্মান এবং সৌন্দর্য ছিল এখানে তার পাঁচ ভাগ থাকবে কি না –আমার মনে হয় না। যে স্ট্যার্ন্ডাড ছিলো, এখন তা আর নেই। এখন শুধু সান্তনা এটাই যে ভাস্কর্যটি এখানে আছে’।
তিনি বলেন, সকালে তাকে নিশ্চিত করা হয় ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে বসবে। জায়গাও প্রস্তুত করে রাখা আছে। এরপর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার দিকে মিস্ত্রী ও কলাকৌশলী ডেকে এনে এটি সেখানে প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত ১টায় ভাস্কর্যটি বসে যায়। এরপর শক্তভাবে দাঁড় করানোর জন্য একঘণ্টা ধরে চলে ওয়েল্ডিং কাজ।
পুরোটা সময় সেখানে নিজে ভাস্কর্যের দাঁড় করানোসহ কাজে যুক্ত ছিলেন মৃণাল হক। দু’দফা ফেসবুক লাইভে ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের ভিডিও দেখান তিনি। সেই সঙ্গে ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি ছবিও তোলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সুপ্রিম কোর্টে অ্যানেক্স ভবনের সামনের গেইটের দিকে আসেন। গেইটের ভেতর থেকেই কথা বলেন তিনি। তবে এভাবে কথা বলাতেও তার প্রতি নিষেধ রয়েছে বলে জানান মৃণাল হক।
এদিকে ওই সময় ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে হাইকোর্টের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ জাতীয় ঈদগাহ গেইটে মিছিলকারীদের আটকে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭/আপডেট সময় ০২২০ ঘণ্টা
এসএ/জিপি/এমআরপি