ভুক্তভোগী পরিবারের একটি গরু চুরি করে বিক্রিও করে দেয় তারা। এসব ঘটনায় পর বিচার না পেয়ে হতাশ হয়ে মেয়েসহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন হজরত আলী।
গাজীপুরের শ্রীপুর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ও যৌন নির্যাতনকারী মো. ফারুককে (৩০) গ্রেফতার করে র্যাব।
শনিবার (২৭ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী ইসলাম নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।
বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, বাবা-মেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় ৩০ এপ্রিল কমলাপুর রেলওয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণায় সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ফারুক মামলার প্রধান আসামি। মামলার পর বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা প্রতিবেশী। পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্বের বিষয়টিও জানা যায়নি। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মে) সকালে বোরহান (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলার ঝানঝাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রশাসনের কাছে মেয়ে উত্ত্যক্তের প্রতিকার না পেয়ে গত ২৯ এপ্রিল শ্রীপুর রেলস্টেশনে মেয়ে আয়শাকে নিয়ে বাবা হজরত আলী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
পিএম/আরআইএস/জেডএস