ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পুড়ে ছাই সুন্দরবনের চার একর এলাকার লতাগুল্ম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
পুড়ে ছাই সুন্দরবনের চার একর এলাকার লতাগুল্ম

বাগেরহাট: সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনে নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

দু’দিন চেষ্টার পর শনিবার (২৭ মে) বিকেল ৪টা ২০মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এরআগে, নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ৮টার দিকে আগুন লাগে।

আগুন নেভাতে স্থানীয় লোকজন, বন বিভাগের কর্মীরা এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌনে পাঁচ একর এলাকা স্থানীয়দের নিয়ে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকরী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে বলেন, দু’দিন চেষ্টার পর বিকেলে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে। এখন ওই এলাকার আর কোথাও আগুন বা ধোঁয়া নেই। আগুনে নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় সাড়ে চার একর এলাকার লতাগুল্ম পুড়ে গেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েক’শ মানুষ আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। বিকেলে আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে। ওই এলাকার আর কোথাও কোনো আগুন বা ধোঁয়া নেই। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখন বন থেকে বেরিয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানান, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদী জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রোববার (২৭ মে) থেকে কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এসিএফ মেহেদীজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। নাশকতা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাসুদুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আগুনের কারণ জানতে বন বিভাগ তদন্ত করছে। তবে আমরা যতদূর জানতে পেরেছি বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে মধুসহ কোনো প্রকার বনজ সম্পদ আহরণের অনুমিত নেই। সেই হিসেবে মধু সংগ্রহকারী বা জেলেদের কারণে আগুন লাগার কথা না। তবে আগুন কি কারণে লেগেছে তা এখনই বলা সম্ভব না।

বন বিভাগ জানায়, শুক্রবার সকালে ধানসাগর স্টেশনের ‘নাংলি টহল ফাঁড়ি’র মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় ধোঁয়া দেখা যায়। এরআগে ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনভুক্ত নাংলী ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী বিলের মিঠা পানির মাছ আহরণ ও জাল পাতার স্থানগুলো পরিস্কার করতে দুর্বৃত্তরা অন্তত চার থেকে পাঁচ দফায় পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এনটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।