অভিযানে কোনো ‘জঙ্গি’ ধরাপড়েনি। তবে এ ‘আস্তানা থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও দেশীয় তৈরি সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড, ল্যাপটপ, বেশকয়েকটি মোবাইলসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, চট্টগ্রাম থেকে ধরা পড়া এক জঙ্গির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সাভারে নামা ও মধ্যগেন্ডা এলাকার দু’টি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় আনোয়ার হোসেনের পাঁচতলা বাড়িটি শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘিরে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অভিযান শুরুর আগেই ওই বাড়ি থেকে সটকে পড়েন সন্দেহভাজন ভাড়াটিয়ারা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাশের আরেকটি নির্মাণাধীন ছয়তলা বাড়িতে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। রাতেই অভিযান স্থগিত করে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল সেখানে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু করে। এ সময় মাইকিং করে বাড়িটির আশপাশের প্রায় ৫০ গজের ভেতর থেকে সব বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়।
নিরাপত্তার কারণে বিচ্ছিন্ন করা হয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট।
অভিযানে থাকা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, ছয়তলা বাড়িটিতে কিছু বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয় সতর্কতার মধ্যে। বাসাটিতে একটি অকেজো টিভি, কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিপুল সংখ্যক ব্যাটারি, বিয়ারিং বল, তার, ল্যাপটপ, অত্যাধুনিক চাপাতি, পাউডার।
‘আমরা জানমালের সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি’ বলেও জানান মহিবুল। সাতটি গ্রেনেড ও তিনটি সুইসাইডল ভেস্ট ধ্বংস করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছয়তলা ভবনটির দ্বিতীয়তলার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বাসাটি ভাড়া নেন ‘কামাল হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কামালের সঙ্গে পরিচিত প্রতিবেশী কবির হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বাড়ির মালিক এক সৌদি প্রবাসী। তবে তার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা সাকিব দেখাশোনা করতেন বাড়িটি। বাড়ির কেয়ারটেকার সিরাজুল ইসলাম। সাকিব থাকেন মানিকগঞ্জে তাকে ঘটনাস্থলে খবর দিয়ে আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
আরআইএস/এসএইচ