শনিবার (২৭ মে) দুপুরে আরএমপি সদর দফতরে প্রশাসনের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে মার্কেট ব্যবসায়ী, পরিবহন সংগঠন ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করেন আরএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, রমজান মাসে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে সচেতন করতে মহানগরীতে মাইকিং ও প্রচারপত্র বিতরণ করবে পুলিশ। রাতেও যেন সবাই নিরাপদে ঈদ মার্কেট করতে পারেন, সেজন্য পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। রমজানে যানজট নিরসনে মহানগরজুড়ে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। মোটা অংকের টাকা ব্যাংকিং লেনদেনে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইলে তাকেও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
মো. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, রমজান মাসে ফুটপাতে কোনো দোকান বসবে না। ফুটপাত ও রাস্তার ওপর ইফতারি তৈরি ও বিক্রি করা যাবে না। যত্র-তত্র গাড়ি রাখা যাবে না। দিনের বেলা শহরের ভেতরে ভারি যানবাহন প্রবেশ করবে না। পরিবহনে বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না।
এগুলো নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিভাগকে কঠোর নির্দেশনাও দেন কমিশনার।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পণ্যের দাম কোনোভাবেই বাড়ানো যাবে না। ঢাকায় বেধে দেওয়া মাংসের দামের চেয়ে রাজশাহীতে প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা হারে কম নিতে হবে। সেক্ষেত্রে রাজশাহীতে ৪শ’ ৫০ টাকার বেশি গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআই’র কর্মকর্তাদের দ্রুত মূল্য তালিকা টাঙানোর ব্যবস্থা করতেও বলেন পুলিশ কমিশনার।
অন্যদিকে রমজান মাসে ছিনতাই, চুরি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ কমিশনার।
রমজান মাসে আতশবাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ব্যবসায়ীদের বিস্ফোরক জাতীয় কোনো পণ্য (পটকা) ক্রয়-বিক্রয় না করার আহ্বানও জানান তিনি।
মতবিনিময়কালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিসহ ব্যবসায়ী নেতা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সিটি করপোরেশন, বিএসটিআই’র কর্মকর্তাসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এএসআর