শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স।
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর। তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে আইন আর নীতিমালা করে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।
‘পাবলিক প্লেসে কেউ ধূমপান করলে, তামাক গ্রহণ করলে আপনারা কেউ বাধা দিচ্ছেন না। আইন করেছি, কিন্তু বাধা দিতে হবে, লজ্জায় ধূমপায়ী আর যেন জীবনে ওখানে ধূমপান না করে। ’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তামাক ও ধূমপান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ধূমপান কেবল ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবেই ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী পাস করা হয়েছে এবং ২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পাস করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ওই বিধি অনুসরণ করে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবি সম্বলিত সতর্কবার্তা সংযোজন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ দিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে এর উপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ এবং ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি’ নামে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সম্ভব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এক্ষেত্রে আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে দৈনিক সমকালের ডেপুটি এডিটর মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিটিএফকে এর বাংলাদেশ প্রোগ্রামের লিড কনসালটেন্ট ড. মো.শরিফুল আলম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জোবায়ের ও এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন।
বাংলাদেশ সময়:১৯৩৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
ইএস/এসএইচ