শনিবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, বাঙালি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদী ছিল।
তিনি আরও বলেন, ভোটের স্বার্থে এখন সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। আমরা দেখেছি, ১৯৭১ সালে ধর্মের নামে গণহত্যা ও ধর্ষণ চালানো হয়েছিল। অথচ ধর্মকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সংবিধানে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখা হয়েছিল।
গবেষক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ একজন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি নাগরিক সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি ছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি রাজপথে ছিলেন। তিনি কাজ করেছেন মনের তাগিদে, সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। তিনি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছেন। আজকে যখন দেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে তখন তাকে আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অধ্যাপক মোজাফ্ফর অত্যন্ত মেধাবী মানুষ ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয় ও সোচ্চার নাগরিক। যেখানেই অন্যায় দেখতেন সেখানেই তিনি প্রতিবাদী হতেন। বস্তুত তার সাহসিকতা কল্পনাকেও হার মানায়। তিনি ছিলেন নাগরিক সমাজের অবিসংবাদিত নেতা।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের সাহসিকতার বহু দৃষ্টান্ত আমি নিজের চোখে দেখেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করেন। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের কাছে এটি ছিল নীতি-নৈতিকতার বিষয়, তাই অনেকের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তিনি তার অবস্থানে অনড় ছিলেন। আলোকবর্তিকাতুল্য এই মানুষটির অভাব আজ গভীরভাবে অনুভব করছি। তার কীর্তি, নেতৃত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতা আজও আমাদের পথ দেখায়, আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান, সুজন নির্বাহী সদস্য ও সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য বদরে আলম খান, গবেষক ড. মির্জা হাসান এবং সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসই/এমজেএফ