ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করলেই ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করলেই ব্যবস্থা পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করলেই ব্যবস্থা/ছবি: রানা

ঢাকা: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবোঝাই গাড়িতে চাঁদাবাজি করলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে ‘রমজানে প্রয়োজনের অধিকপণ্য কিনবো না, বাজারে পণ্যের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কাওরান বাজার ক্ষুদ্র আড়ৎদার মালিক সমিতির সহযোগিতায় আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৫-৬ বছরে কাওরান বাজারে কোনো ঝামেলা হয়নি। আগে প্রায়ই কাওরান বাজারে ঝামেলা হতো। এছাড়া কাওরান বাজারে কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কাওরান বাজারের পার্কিং থেকে কোনো ধরনের অতিরিক্ত অর্থ তথা চাঁদাবাজি করা যাবে না। যেকোনো জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন তথ্য জানলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন। যেই চাঁদাবাজি করুক সেটা এমপি, মন্ত্রী বা তার ছেলে হলেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আছে। এজন্য প্রশাসন সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

রমজানে ছোলা ও চিনি পর্যাপ্ত মজুদ আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন মানুষের জন্য রমজানে যে ছোলা ও চিনি প্রয়োজন সেটা পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তবে চিনির দাম বাড়লেও সেটা কমিয়ে আনা হবে। একটি গোষ্ঠী রমজানকে কেন্দ্র করে চিনির দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কেননা ব্যবসায়ীরা সরকারের পক্ষে আছে। এজন্য রমজানকে ঘিরে কোনো ধরনের জিম্মি নাটক চলবে না।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ভোক্তারা বলেন ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরা বলেন বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। এমনভাবে কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ভোক্তার কথা মাথায় রেখে দাম নির্ধারণ করতে হবে। ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে কখনো ব্যবসা হয় না। এছাড়া রমজান সিয়াম সাধনার মাস, এ মাসে কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না। ভোক্তারা যেন মনোক্ষুন্ন না হয় সেজন্য ব্যবসায়ীদের নজর রাখতে হবে।

দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, রমজান ঘিরে একটি পক্ষ মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠবে। প্রশাসনকে এই পক্ষকে দমন করতে হবে। প্রতিবছরই রমজানের সময় বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু কেন? বিশ্বের অন্য সবদেশে রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় থাকে, আর আমার দেশে বিদ্যৎ গতিতে দাম দ্বিগুণ হতে থাকে। এভাবে চলতে পারে না। এখনি সময় সরকারকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা।

এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা চাইলে সবই পারেন। আমরা চাই ভোক্তারা যেন কখনো বিমুখ না হয়। ভোক্তাদের বিমুখ করে কখনো ব্যবসা করা যায় না। এজন্য কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, ভোক্তারা যেন বিমুখ না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর রমজান ঘিরে কোনো ধরনের অরাজকতা যেন তৈরি না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সব ধরনের দ্রব্যমূল্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব রাখেন, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, নিরাপদ সড়ক চাই (নিচসার) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, এফবিসিসিআই পরিচালক শমী কায়সার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব নুরুল হক ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসজে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad