শনিবার (২৭ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনে।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানান, সহকারী সুপার শেফালী বানু প্রশিক্ষণের নামে ব্যাপক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। কোনো শিক্ষক এর প্রতিবাদ করলেই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন করেন সহকারী সুপার। শিক্ষকদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন থেকে এমন আচরণের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আজ সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে পিটিআই-এর সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা মাথায় কাপড় বেধে সহকারী সুপার শেফালী বানুর অপসারণ ও বদলির দাবি জানান।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবি, সহকারী সুপার শেফালী বানুর বদলি করা হোক। না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। ফিরে যাবেন না ক্লাসেও।
সেফালি বানুর অপসারণ দাবির কারণগুলো হচ্ছে- তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেন, প্রতিবাদ করলেই যখন তখন পরীক্ষায় অকৃর্তকার্য করাবেন বলে ভয়ভীতি দেখান, শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের সময় অপ্রসাঙ্গিক কথা বলেন ও সময় ক্ষেপণ করেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হন প্রশিক্ষণার্থীরা। পুরুষ হোস্টেলে মনিটরিং-এর নামে প্রশিক্ষণার্থীদের হয়রানি করেন নারী প্রশিক্ষণর্থীদের দিয়ে তিনি বাধ্যতামূলক বাথরুম পরিষ্কার করান।
ইউনিফর্ম পর্যবেক্ষণের নামে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের নানানভাবে লাঞ্ছিত করেন সহকারী সুপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসএস/বিএস