এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় পানির কারণেই বেশিরভাগ দোকানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
নীলক্ষেত ইসলামিয়া মার্কেটের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, রাস্তার পাশে রিয়াদ প্রিন্টিং প্রেস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার পর মার্কেটের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাইপ দিয়ে মার্কেটের হাউজে সংরক্ষিত পানি দিয়ে প্রথমে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। খবর দেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এজন্য দ্রুতই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।
রিয়াদ প্রিন্টিং প্রেস থেকে পাশের বইয়ের দোকানে লাগার পর দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের পাঁচটি গলির প্রায় ৫০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগুন নেভার পর সামান্য ধোঁয়া বের হলে ফায়ার সার্ভিসকে আর পানি না দিতে অনুরোধ জানান দোকানিরা। তারপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো থেকে ভেজা-আধা ভেজা অক্ষত বইগুলো বের করে নিতে দেখা গেছে।
আইন বই ব্যবসায়ী সমিতির দোকানের অংশিদার আরিফ বলেন, আনুমানিক সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ওপর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। পরে চোখের পলকেই দেখি দাও দাও করে আগুন জ্বলছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি দোকানেরই ওপরের দিকে দোতলা-তিনতলা পর্যন্ত রয়েছে। সবগুলোতে প্রচুর বই রয়েছে। ১০-১২টি দোকানে আগুন ছড়ালেও পানির কারণে বাকি দোকানগুলোর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ৭টা ৫৫ মিনিটে আগুনের খবর পাই। তারপর চারটি স্টেশন থেকে নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
দোকানগুলো ছোট ছোট ও স্টিল স্ট্রাকচারে তিনতলা পর্যন্ত রয়েছে। আমরা স্ট্রাকচার অনুযায়ী হিসেব করবো। প্রায় ১২টি দোকান তিনতলা হিসেবে ৩৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বলেন, ভেতরে সামান্য কিছু ধোঁয়া রয়েছে। কিন্তু বই ভিজে নষ্ট হবে বলে দোকানিরা পানি দিয়ে নিষেধ করেছেন। তারা অক্ষত বইগুলো বের করে নিলে পানি দিয়ে পুরোপুরি নির্বাপন করে ফেলবো।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
পিএম/এসআই