শুক্রবার (২৬ মে) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগে। সকাল ১০টার দিকে নাংলি ফাঁড়ির জিং নাংলী এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখতে পায় বনবিভাগের কর্মীরা।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে বনবিভাগ কর্মীরা স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার লাইন কাটতে শুরু করে। পরে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট। সন্ধ্যায় আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বন কর্মীরা দুই একর এলাকা জুড়ে ফায়ার লাইন কাটে। তবে আগুনে বিক্ষিপ্তভাবে এক কিলোমিটারেরও কম জায়গার লতাগুল্ম ও কিছু গাছ পুড়েছে। আগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা না কী কোনো দুর্ঘটনা তা জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা বললেও পুরোপুরি নিভে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ফায়ার সার্ভিসের মোরেলগঞ্জ ইউনিটের টিম লিডার গোলাম মোস্তফা জানান, বন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে বেলা ১টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস ভোলা নদী প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়।
রাত ৮টার দিকে তিনি আরো জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় এখন কাজ করা কঠিন। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় এখনো ধোঁয়া আছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে এই এলাকায় আবারও পানি ছিটানোর কাজ শুরু হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদী জামানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাংমারি স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে আগুন লাগার কারণসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে পাঁচ দফা আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকায়। সে সময় আগুন লাগানোর অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করে বনবিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এসআই